০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬
`

শীতে জবুথবু উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। গত দু‘দিনে দেখা মেলেনি সূর্যের। নিম্ন আয়ের মানুষরা শীতের কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের পোশাকের জন্য হতদরিদ্ররা সরকারের দিকে চেয়ে থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী মেনেলি শীতবস্ত্র।

প্রশাসন জানিয়েছে, বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণসহ সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যহত আছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতের কারণে মানুষের চলাফেরা কমে গেছে। গাইবান্ধা-সাঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যানচালক আব্দুল মতিন জানান, গত দু‘দিনে শীতের কারণে জীবন যায় যায় অবস্থা। ঘর থেকে বের হলেও চলাচল করা যায় না।

বোনারপাড়া ইউনিয়নের আরিফুর রহমান স্বপ্ন জানান, ‘আমি বিজনেস করি। পাইকারি বিস্কুট, চানাচুর, লজেন্স, কেক রুটিসহ বিভিন্ন খাবার বিক্রি করি। গত কয়েক দিনে বিক্রি কমে গেছে। ফলে আর্থিকভাবে লোকসান হচ্ছে।‘

অটোচালক জয়নাল আবেদিন জানান, শীতের কারণে হাত-পা জবুথবু হয়ে আসে, তাই ঘর থেকে বের হওয়া মুশকিল। শীতে কয়েক দিনের ইনকাম বন্ধ হওয়ায় সব মিলে আমরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।

কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিলন মিয়া জানান, সরকারিভাবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিতরণের ১০টি কম্বল পেয়েছিলাম। মানুষের চাহিদা মিটাতে আমার রামনগর-অনন্তপুর গ্রামের ৫০ জনের মধ্যে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর্ন এন লিভের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর্ন এন লিভের চেয়ারম্যান লন্ডন প্রবাসী ফরিদা ইয়াসমিন জেসি নয়া দিগন্তকে মোবাইলফোনে জানান, ‘আমরা সারাদেশে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য কাজ করছি। নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলাসহ ২০টি জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। দেশের সব জেলার শীতবস্ত্র বিতরণের চেষ্টা করছি।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইছাহাক আলী নয়া দিগন্তকে জানান, সাঘাটা উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সকল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। শীত প্রকোপ বেশি হওয়ায় আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যহত রাখছি।


আরো সংবাদ



premium cement