বাংলাদেশের তরকারিতে লবণ দিতে আসবেন না
- রাফিক সরকার, ঠাকুরগাঁও
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫, আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০৬
ভারতের উদ্দেশে ‘বাংলাদেশের তরকারিতে লবণ দিতে আসবেন না’ বলে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৬ ডিসেম্বর তাদের বিজয় বলে দাবি করেছেন। সেখানে তিনি একটিবারও বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেননি। প্রতিবেশী দেশ প্রতিবেশীর মতো থাকুক। কিন্তু তারা মাঝে মাঝে বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশের তরকারিতে লবণ দিতে আসে। আমাদের তরকারিতে আমরাই লবণ দেবো।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা স্কুল বড় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে যে দল সংখ্যালঘু বলে ফায়দা লুটে নিয়েছে। তারাই তাদের ক্ষতি করেছে, তাদের সম্পদ লুটে নিয়েছে, বাড়ি ঘর দখল করেছে, নির্যাতন করেছে। তারা এসব করে ইসলামপন্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে দিতে চেয়েছে। ইসলামপন্থীরা এসব করে না, অন্যের সম্পদকে নিজের সম্পদ মনে করে না, অন্যকে নির্যাতন করে না। আমরা জাতিসঙ্ঘের কাছে দাবি জানিয়েছি, বাংলাদেশে যত এরকম ঘটনা ঘটেছে তার সকল ঘটনার তদন্ত করা হোক। তাতে যারা অপরাধী হবে তাদের বিচার হোক। তারা কারা দেখতে চাই, কারা জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের বিপ্লবের পর চার দিন দেশে কোনো সরকার ছিল না। ইসলামপন্থীরা চার দিন সারাদেশে পাহারা দিয়েছে। দুর্গাপূজায় গণ্ডগোল করতে চেয়েছিল। আমরা জামায়াতের পক্ষ থেকে তাদের পূজায় পাহারা দিয়েছি। আমরা চাই না কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে পাহারা দেয়া হোক, মসজিদে পাহারা দেয়া না লাগলে মন্দিরেও যাতে পাহারা দিতে না হয়- এমন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে চাই।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। ছোট এই বাংলাদেশে ১৮ কোটি মানুষ। কিন্তু জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারিনি। তাদের হাতকে কর্মের হাতে পরিণত করতে পারলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত।’
জামায়াতের ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খুন, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের সাড়ে ১৫ বছর পর মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। এই সাড়ে ১৫ বছরে অনেকে জীবন দিয়েছে, অনেকে আহত হয়েছে, অনেকের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। জামায়াতে নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদেও ঘর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কুরআনের পাকি আল্লামা সাঈদীকেও মৃত্যুও দিকে ঠেলে দেয়া হলো। তার নামাজে জানাজায় যেন মানুষ না আসতে পারে এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা করার পরও বৃষ্টির মধ্যে মানুষ জানাজায় অংশ নিয়ে তাকে বিদায় দিয়েছে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর- স্লোগান নিয়ে ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছিল। তারা বুক পেতে খোলা অস্ত্রের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। এক মন্ত্রীকে পুলিশ বলেছিল, একটি গুলি করি একজন মরে আর চারজন দাঁড়িয়ে যায়। এমন জাতি তৈরি হয়েছে, এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ভবিষ্যতেও যাতে জাতির জন্য এমন ছেলেরা দাঁড়িয়ে যায় সে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মরা বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। ছাত্রদের সার্টিফিকেট দেয়া হয়, কিন্তু চাকরি দেয়া হয় না। ছোট একটি দাবির জন্য রাস্তায় নেমেছিল, কিন্তু তাদের দাবি পূরণ না করে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হলো। অসংখ্য মানুষ পঙ্গু হয়েছে, চোখ হারিয়ে কাতরাচ্ছে। তাদের এক অধিকারের সাথে সকল অধিকার এক হয়ে মানুষের মুক্তির আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।’
আমিরে জামায়াত বিগত তিনটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নিয়েছিল। আর ২০১৮ সালে নির্বাচন রাতের বেলায় করেছে এবং ২০২৪-এর ভোট হয়েছে আমি আর ডামি। সরকার ছিল ডামি সরকার। এ জন্য স্রোতেই চলে গেছে। তারা আবার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তারা আত্মস্বীকৃত খুনি, খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি বলতে চাই, এ চ্যাপ্টার ক্লোজড। শ্রীলঙ্কার সরকারও পালিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসেনি, আসবে না। মানুষকে বোকা ভাববেন না। দেশটাকে এখন গড়তে হবে। আমরা চাই সবাই মিলে দেশ গড়তে। তবে যারা লুণ্ঠন করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও জেলা গুরুত্বপূর্ণ জেলা, কিন্তু অবহেলিত। এখানে মেডিক্যাল কলেজ নেই, বিশ্ববিদ্যালয় নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, এ জেলার দিকে নজর দিন। অন্তত একটি মেডিক্যাল কলেজ দিয়ে শুরু করুন। আমরা চাই, সকল জেলায় সমান উন্নয়ন হবে। আমরা চাই আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। সকল জেলায় সমান উন্নয়ন হবে। ইনসাফের ভিত্তিতে দেশ হলে দেশ বিশ্বে একটি রোল মডেলে পরিণত হবে। এমন বাংলাদেশ চাই, এমন বাংলাদেশে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা, নারী-শিশু সবাই সম্মানের সাথে বাস করবে।’
এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি ঠাকুরগাঁওবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি। আগামী নতুন বাংলাদেশ গড়তে চেষ্টা চালাতে হবে। আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত, ঘুষ মুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত সাম্যের দেশ গড়তে চাই। এ জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য আপনাদের দোয়া চাই, আপনাদের পাশে চাই, আপনাদের সহযোগিতা চাই, আমরা অন্যায় করলে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনবেন। আল্লাহর হুকুম থাকলে আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
এ জন্য তিনি ঠাকুরগাঁওবাসীর সহযোগিতা চান।
জেলা আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, সাবেক শিবির সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলা আমির আনিসুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহমদ, ঠাকুরগাঁও শহর জামায়াতের আমির শামসুজ্জামান শামীম, হিন্দু ধর্মীয় নেতা যতীস চন্দ্র রায়, ওলামা নেতা মুফতি হারুনুর রশিদ কাসেমী, ঠাকুরগাঁও শহর শিবির সভাপতি আসাদুল্লাহ আল গালিব, জেলা শিবির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, শহীদ আবু রায়হানের বাবা ফজলে আলম রাশেদ প্রমুখ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি, অধিকার পায়নি। যারাই কথা বলেছে, তাদের গুম করা হয়েছে অথবা কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক আন্দোলন করেছে, কিন্তু কোনো আন্দোলন সফল হতে পারেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার প্রতিবেশী দেশে গিয়ে পালিয়েছেন। আল্লামা সাঈদীর ভবিষ্যত বাণী সত্যে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যারা পালিয়ে গেছে তারা কেউ ফিরতে পারেনি। আওয়ামী লীগও ফিরতে পারবে না। বাংলাদেশের মাটিতে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে দেয়া হবে না। কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেবো না। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, সরকারের ভেতরে বাইরে ফ্যাসিবাদের শক্তি যে যেখানে আছে অবিলম্বে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আর দক্ষ যোগ্যদের উপযুক্ত জায়গায় নিয়োগ দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারাই নৈরাজ্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণ মোকাবেলা করবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, স্বৈরাচার ও দখলবাজ মুক্ত বাংলাদেশ। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইনসাফ ও ইসলামের বাংলাদেশ। মানুষ ইসলামী সরকার চায়।’
সেই মহাআন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে নিরঞ্জন বাবুসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। গত ১৭ বছরে যে জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়েছেন, এবার ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বন্ধু সংগঠনের এক নেতা ঐক্য বিনস্ট করার মতো কথা বলছেন। তিনি বলছেন, জামায়াত ব্যাংক দখল করেছে। জামায়াত ব্যাংক দখল করেনি। জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলী ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দখলদার এস আলম গ্রুপ পালিয়ে গেছে। ভারতীয় দালালের মতো কেউ কেউ বক্তব্য দিচ্ছেন।’
এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে বিভেদ ছড়িয়ে না দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে হাসিনা পালিয়ে গেছে। সজাগ থাকতে হবে, আবার যাতে হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট তৈরি না হয়।’
ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।’
অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, ‘এমন কোনো অপকর্ম নেই আওয়ামী লীগ ও হাসিনা করেনি। গুম, হত্যা ও নির্যাতনের মাধ্যমে দেশকে যারা অশাস্তিতে পরিণত করা হয়েছিল তাদের সবার বিচার করতে হবে। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। যারা তাদের পুর্নবাসন করার চেষ্টা করছেন তারা জাতীয় গাদ্দারে পরিণত হবেন।’
প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
মাওলানা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা দিয়েছে। আমি ১০ বছরের শিশু হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ এনে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। এভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমাদের নির্যাতন করেছে, কিন্তু ইসলামী আন্দোলনকে দমাতে পারেনি।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত নির্যাতন চালিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে চেয়েছিল। তাদের চক্রান্ত আল্লাহ ব্যর্থ করে দিয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করেছেন। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা ঠাকুরগাঁওকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত শান্তির জেলায় পরিণত করব।’
তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর ও বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ চালু করার দাবি জানান। একইসাথে কৃষি ইনস্টিটিউট করারও দাবি জানান তিনি।
হিন্দু ধর্মীয় নেতা যতীস চন্দ্র রায় বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের আচার আচরণ ভালো। তাদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে আমি সমাবেশে বক্তব্য দিতে এসেছি। বিভিন্ন ধর্মের লোকজন বিভিন্ন নামে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে। আমরা সৃষ্টিকর্তার সান্বিধ্য পাওয়ার জন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমি সাঈদী সাহেবের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি কোনো দল করি না। জামায়াতের সততা, ভদ্রতা ও নম্রতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমরা জামায়াতের সরকার গঠনের জন্য চেষ্টা করব। তারা দুর্নীতি করে না, ঘুষ খায় না এবং অন্যায় করে না।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন প্রধান সম্মেলন সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা