‘ভারত সরকার একতরফাভাবে আ’লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে’
- ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২০, আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৪
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেছেন, আমরা ভারত সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশ আপনাদের কোনো দুশমন নয়। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারত সরকার শুধু আওয়ামী লীগকেই এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। অথচ বাংলাদেশ কোনো একক দলের নয়। এটি ১৮ কোটি মানুষের দেশ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামকে সভাপতি এবং মো: রফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মো: রফিকুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি প্রভাষক মনিরুজ্জামান জুয়েল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডিমলা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী রুকুনুজ্জামান বকুল।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বজিৎ দাস নামে একজন দর্জি শ্রমিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের দায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু মিডিয়ার সহযোগিতায় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্রকৃত অপরাধীরা ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
তিনি আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের উদ্দেশে বলতে চাই, যাদেরকে আপনারা আশ্রয়স্থল ভাবছেন, তারাই আপনাদের ধর্মের একজন নিরীহ শ্রমিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ওই দিন সেই শ্রমিক প্রাণভিক্ষা চেয়ে বলেছিল, আমি কোনো দল করি না, কোনো রাজনীতি করি না। আমি গরিব মা-বাবার সন্তান। আমাকে বাঁচতে দিন। কিন্তু ওই হায়েনার দল তার কথাকে গ্রাহ্য করেনি। আওয়ামী লীগের কাছে হিন্দু সম্প্রদায়ও নিরাপদ ছিল না।
অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান আলোচক প্রভাষক মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, অধিকার কেউ দেয় না, সংগ্রাম করে আদায় করতে হয়। বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে কাজের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এদেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু শ্রমিকদের অধিকার কেউ দিতে চায়নি।
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায় করতে হবে। মর্যাদা কেউ এনে দেবে না, কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় প্রত্যয়ের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা