২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন, দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আলু চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়ায় আগাম জাতে আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা। পাইকাররা জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ১০ থেকে ১২ টন।

চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নগর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে সাত জাতের আলু লাগিয়েছি। জমি থেকেই পাইকাররা আলু প্রতি কেজি ৫৬ টাকা দরে নিয়ে যাচ্ছেন।’

উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে দুই জাতের আলু লাগিয়েছি। তবে আর ১০ দিন আগে আলু তুলতে পারলে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। আমার জমি থেকে পাইকাররা প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা দরে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলন ভালো হওয়ায় এ দামে আলু বিক্রি করেও ভালোই লাভ হচ্ছে।’

কৃষক মো: জাকির হোসেন বলেন, ‘তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের চার জাতের আলু চাষ করেছি। তিন বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিন বিঘা জমির আলু বিক্রি করছি সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায়। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও আমার আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। আমি প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আগাম আলুর ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় লাভ বেশি হয়েছে।’

কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। আলু বীজের দাম বেশি থাকায় এক বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলু বিক্রি হবে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। বীজের দামটা কম থাকলে আরো বেশি লাভ হতো।’

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব বলেন, ‘কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামূলক কম হয়। তারপরেও এবার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলুর দাম বেশ ভালোই পাচ্ছেন। এরপরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় এ পর্যন্ত তিন হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে সেভেন, স্ট্যারিক্স জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা আগাম জাতের আলু ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে তুলতে পারেন। সাধারণত হেক্টর প্রতি আগাম জাতের আলুর ফলন ১০ থেকে ১২ টন। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষকেরা যে আলু তুলছেন সেখানে আমরা দেখছি হেক্টর প্রতি ১২ থেকে ১৫ টন পর্যন্ত আলু উৎপাদন হয়েছে।’

তিনি বলেন, কৃষকেরা বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও তারা ভালো লাভ পাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
এখন মানবিক সমাজ বিনির্মাণের খুব প্রয়োজন : অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ফল আমদানি কি আদৌ অত্যাবশ্যক ‘শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের অনুকম্পায় দল গঠন করছে না’ সোনাইমুড়ী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খলিল গ্রেফতার এনডিএম ও গণধিকার পরিষদের সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ বৈঠক বিনা শর্তে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে শরণার্থীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ সুদান সরকারকে বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ এস আলম গ্রুপের, নইলে আন্তর্জাতিক সালিশির হুমকি একনেকে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন সালাহর চমকে উড়ল লিভারপুল

সকল