২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুড়িগ্রামে শীত, বিপাকে হতদরিদ্ররা

- ছবি : ইউএনবি

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষজন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে।

শুক্রবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালও ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত এক মাস ধরে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও রাত হতেই নেমে আসছে ঘন কুয়ার সাথে কনকনে ঠান্ডা।

ফলে শীতের কষ্টে ভুগছেন জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত ৪ শতাধিক চরাঞ্চলের দিনমজুরসহ সকল পেশার মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

জেলা প্রশাসন জানান, এসব মানুষের শীত নিবারণে সরকারিভাবে ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর এলাকার আব্দুল হক বলেন, ‘এত ঠান্ডা পড়ছে সকালে কাজ করা যায় না। হাত পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষগুলা খুব কষ্টে পড়েছি।’

ওই এলাকার আব্দুল জব্বার বলেন, ‘সকালে এত ঠান্ডা থাকে, ঘর থেকে রের হওয়ায় যায় না। রাতে ঠান্ডার কারণে ঘুমেই হয় না। এ সময় কম্বল পাইলে হামার অনেক উপকার হইল হয়।’

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এ সপ্তাহের মধ্যেই জেলার ওপর দিয়ে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, আপাতত শীত ও ঠান্ডায় কোনো ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছি যাতে বীজতলার কোনো ক্ষতি না হয়।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement