কাঁপছে পঞ্চগড়, ৮ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭
উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে গত ছয় দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। ভোর-সন্ধ্যায় গ্রামগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করচ্ছেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে।
বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, এদিন ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় এ তথ্য জানান।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠে গেছে সূর্য। সকাল ৯টা পর্যন্ত রোদ ছড়ালে অনুভূত বরফের মতো কনকনে শীত। তবে বেলা বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে রোদের তেজ। সকাল ৯টার পর হারিয়ে যেতে থাকে কনকনে শীতের প্রভাব।
তবে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতের প্রভাব থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাথরশ্রমিক, চাশ্রমিক, ভ্যানচালক ও দিনমজুর।
তারা জানান, সকাল ৯টার পর থেকে এ অঞ্চলে আর ঠান্ডা থাকছে না। তবে নদীর পানিতে পাথর তুলতে গেলে বরফগলা পানিতে নেমে পাথর তুলতে গেলে দিনশেষে জ্বর, সর্দি আর কাশিতে ভুগতে হচ্ছে। পাথর তুলেই পরিবার চলে। পরিবারের কথা চিন্তা করেই কাজে বের হতে হয় আমাদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। বুধবার সকালে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এর আগে, ভোর ৬টায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৭৭ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। তবে ভোরে কুয়াশা থাকছে না। ভোরেই সূর্যের দেখা মিলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা