রংপুরে শ্যামা সুন্দরী খালে উচ্ছেদ অভিযান
- সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৩৯
শুরু হলো রংপুর মহানগরবাসীর লাইফলাইন শ্যামা সুন্দরী খালটি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি অফিস থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
অভিযান সমাপ্ত হলে শ্যামাসুন্দরী খনন ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে নগরবাসী বলছেন, বিগত সময়ের মতো যেন উদ্যোগ থমকে না যায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা। উচ্ছেদ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ, মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহসহ অন্যান্যরা।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ১৮৯০ সালে রাজা জানকী বল্লভ সেনের মা ম্যালেরিয়ায় মারা গেলে রংপুরকে মশার উপদ্রুপ থেকে বাঁচাতে মায়ের নামে শ্যামা সুন্দরী খাল খনন করেন। ১৬ কিলোমিটার বয়ে যাওয়া এই খাল ছিল স্রোতধারা।
সময়ের পরিক্রমায় দখলে আর দূষণে পরিণত হয় শ্যামাসুন্দরী। নানাভাবে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও তা ছিল সাময়িক। ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিষয়টি আবারো আলোচনায় আসে। উদ্যোগ নেয়া হয় দখলমুক্ত করার, সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হলো দখলমুক্ত কার্যক্রম। ভেঙ্গে দেয়া হলো রেজিস্ট্রি অফিসের পাশের স্থাপনা। এতে খুশি নগরবাসী। দখলকারীরাও চান কেউ যেন আর দখলে না থাকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি বলেন, ‘রংপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খালের দখলদার উচ্ছেদ ও দূষণমক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাবি জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান শুরু হয়েছে। দখল ও দূষণ উচ্ছেদ হলে শ্যামাসুন্দরী খাল প্রাণ ফিরে পাবে।’
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ‘রংপুর নগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শ্যামাসুন্দরী খালে ১১৭ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। এরপরই শুরু হবে খনন ও উন্নয়ন কার্যক্রম। খুব শিগগির সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদ অভিযানে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, রংপুর সিটি করপোরেশন, উপজেলা ভূমি অফিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করছে।’