বিয়ের প্রলোভনে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
- মিঠাপুকুর (রংপুর) সংবাদদাতা
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৫০
রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের প্রলোভনে আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে এক নারীকে চার বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে এবং লতিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কামরুজ্জামান ওরফে জামান (৪০) পেশায় একজন বই বিক্রেতা। সেইসাথে গ্রামে একটি মাছের খামারও রয়েছে তার। সেই খামারে ওই নারী জীবিকার তাগিদে কাজ করতেন। এই সুযোগে ওই নারীর সাথে কামরুজ্জামান প্রেমের সম্পর্ক তোলেন ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে মাছের খামার, ওই ভুক্তভোগীর বাড়ি এবং ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া করে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
সূত্রে আরো জানা গেছে, এক পর্যায়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় ওই নারীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকে প্রেমের সম্পর্ক। সম্প্রতি কামরুজ্জামান গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। পরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বাধ্য হয়ে ওই নারী গত শুক্রবার কামরুজ্জামানের মাছের খামারে যান। সেখানে আবারো ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, বিয়ের আশ্বাসে কারুজ্জামান আমাকে নিজের স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেছে। আমার স্বামী এবং সন্তানদের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখতে দেয়নি। প্রায় সময় আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করেছেন। তিনি এখন বলছেন, ‘আমাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘কামরুজামান আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় প্রায়ই এসব কর্মকাণ্ড করতেন। মানুষকে ভয় দেখিয়ে অর্থসহ ইজ্জত লুটে নিতেন। তার কঠোর শাস্তি দাবি করেন তারা।
অভিযুক্ত কামরুজামান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। আপনারা যা লেখার লেখেন, কিছু যায় আসে না।’
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা