১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সৈয়দপুরে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

সৈয়দপুরে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ - ছবি : নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক আড়ত মালিক ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, মারধর ও মালামাল লুটের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের সৈয়দপুর বসুনিয়াপাড়া বাইপাস মোড়-সংলগ্ন সৈয়দপুর পাইকারি সবজি আড়তের সামনে এ অবরোধ করা হয়।

এ সময় ৩ ঘণ্টা ধরে রংপুর দিনাজপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

অবরোধকারীদের অভিযোগ, সকালে সৈয়দপুর কাঁচা আড়ত পাইকারি সবজি বাজার থেকে মালামাল নিয়ে যাওয়ার পথে রাবেয়া মোড় এলাকায় কুন্দল ব্রিজের কাছে বিসমিল্লাহ আড়ত নামের নতুন পাইকারি সবজি বাজারের মালিক পক্ষ তাদের পথরোধ করে। এ সময় আড়তের মালিক পক্ষের লোক সিরাজুল, সালাহ উদ্দিন ও গোল্ডেন সৈয়দপুর পৌর কাঁচা আড়ত থেকে মালামাল কেন নেয়া হয়েছে তা জানতে চায় এবং তাদের আড়তে কেনাকাটার জন্য জোর করে। তখন ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা যেখানে সুবিধা পাবো সেখান থেকে মালামাল কিনবো তাতে আপনারা বাধা দেয়ার কে?

এ সময় বিসমিল্লাহ আড়তের লোকজন ব্যবসায়ীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ব্যবসায়ীদের ভ্যান থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে গিয়ে পাঁচজন ব্যবসায়ী জখম হয়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর পৌর কাঁচা আড়ত পাইকারি সবজি বাজারের লোকজন এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এ সময় হৃদয় নামে একজনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ব্যবসায়ী রায়হান আলী বলেন, ‘পৌর কাঁচা আড়ত থেকে ৩৩ হাজার ৭০০ টাকার সাত বস্তা আলু কিনে সৈয়দপুর শহরের পৌর সবজি বাজারে যাওয়ার সময় কুন্দলে বিসমিল্লাহ আড়তের মালিক সিরাজুলসহ তার সহযোগী সালাহ উদ্দিন ও গোল্ডেনের নেতৃত্বে লোকজন আমাদের আটকিয়ে মারধর করে মালামাল লুট করে।

পৌর কাঁচা আড়তের একতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল মোাহাম্মদ আজম বলেন, ‘সম্পূর্ণ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বৃহৎ এই আড়ত থেকে কয়েকশ গজ দূরে বিসমিল্লাহ আড়ত দেয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আড়ত করে তারা সুবিধা ভোগ করতে চায়। আর আমরা সমিতি করে আড়ত করায় এই সমিতির সকল সদস্য ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা সমানভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া এই আড়ত অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এখানে ক্রেতা-বিক্রেতা কেনাকাটা করে লাভবান হন। নতুন আড়ত গড়ে তোলার আগে থেকেই একটি মহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে চলছে। তার ধারাবাহিকতায় এই সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট করেছে তারা। আড়ত মালিক ডাব্লু শাহের নির্দেশেই এমনটা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

সৈয়দপুর থানার (এসআই) আঙ্গুর বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে অবরোধকারীরা অপরাধীদের বিচারের দাবি জানায়। তাদের দাবি অনুযায়ী জেলা পুলিশ সুপারের সাথে কথা বললে, তিনি বিচারের আশ্বাস দেন। পরে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement