রংপরে স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে মেডিক্যাল টেকনোলোজিস্টদের বিক্ষোভ
- রংপুর ব্যুরো
- ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৯
ছয় দফা দাবিতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী মেডিক্যাল টেকনোলজি ও ফার্মাসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে আলাদা পরিদফতর গঠন, দশম গ্রেড পদমর্যাদা প্রদান, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেয়া।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে তারা।
এ সময় তারা ‘হই হই রই, পরিচালক গেল কই’, ‘হই হই রই রই, স্মারকলিপি গেল কই’, ‘ওরা কেন কর্মকর্তা, আমরা কেন কর্মচারী’, ‘আর নয় যুক্তি, আমরা চাই মুক্তি’, ‘আবু সাঈদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, ‘গত ২৯ অক্টোবর রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করি। কিন্তু বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক সেই স্মারক লিপি এখনো স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়নি। আমরা মনে করি এটা বৈষম্য।’
তাদের আরো অভিযোগ, ‘এক মাস ধরে আন্দোলন চললেও দাবি পূরণে কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।’
এ সময় তারা দাবির পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে জানায়, করোনাকালীন রোগীদের পাশে কেউ যেত না। তখন টেকলোজিস্টরা রক্ত সংগ্রহ করে চিকিৎসা সেবা বহাল রেখেছে। অথচ তারা কর্মচারী। নার্সিংসহ অন্যান্যরা দশম গ্রেড পেলেও টেকনোলোজিস্টদের না দিয়ে বৈষম্য করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকালে কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় অফিসের লোকজন।
পরে বেলা দেড়টায় মোবাইল ফোনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে বলেন, ‘তিনি অফিসে না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান করবে।’
বৈষম্যবিরোধী মেডিক্যাল টেকনোলজি ও ফার্মাসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সমন্বয়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ২৯ অক্টোবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সেটি দেয়নি। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদেরকে (সোমবার) একটি ফরোয়ার্ডিং দেখানো হয়। তাতে পরিচালকের স্বাক্ষর ছিল। কিন্তু তিনি অফিসে উপস্থিত না থাকলেও কিভাবে স্বাক্ষর করলেন সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা তিনি না আসা পর্যন্ত অবস্থান অব্যাহত রাখব।’
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক জানান, ‘আমি অফিসিয়াল কাজে কুড়িগ্রামে এসেছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তারা ফিরে যাচ্ছে না। আমি কাজ শেষ করে রংপুর ফিরব। তবে কখন ফিরব সেটা বলা যাচ্ছে না।’
তাহলে কি শিক্ষার্থীরা থাকবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কাজ শেষ করেই ফিরব। কারণ তারা তো আমাকে বলে আসেনি।’