২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আ’লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে : ভিপি নুর

বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ভিপি নুর - ছবি : নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই রংপুরের মাটি আবু সাঈদের মাটি। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত মাটিতে রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি।’

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো দ্রুত এই গণহত্যাকারী ও তার দোসরদেরকে গ্রেফতার করেন। রংপুরসহ দেশের জনগনকে স্বস্তি দিন। যদি আইনিব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিবে। আমরা তা চাই না। তার আগেই আপনারা ব্যবস্থা নিন।’

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গণ অধিকার পরিষদের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, মুখ্য আলোচনা করেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজিব।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-দফতর সম্পাদক ইবরাহিম খোকন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, নির্বাহী সদস্য মো: কামাল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোনতাজুল ইসলামসহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এ সময় নুর বলেন, ‘দেশে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে তাদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতে গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর যে সরকার এসেছে তাদের আমরা স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সহযোগিতা করতে চাই। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণ জোয়ার তৈরি করতে চাই।’

নুর আরো বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে এই অঞ্চলের মানুষের কষ্ট দূর করার চেষ্টা করেনি। ভালো কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে রংপুর কভার হয় না। তিনি বলেন, এখানকার ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। এই সম্ভাবনাময় রংপুরে কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি হাব ও নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন।’


আরো সংবাদ



premium cement