রংপুর মেডিক্যাল কলেজ বুধবার থেকে শাটডাউন, মঙ্গলবার ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি
- সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো
- ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৮
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষকে অপসারণ করা না হলে বুধবার (৬ নভেম্বর) থেকে কলেজ ও হাসপাতাল কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই দাবিতে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) হাসপাতালে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবে চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের সেবাদাতারা। এছাড়াও ডা. মাহফুজের বিরুদ্ধে গ্রাম ও বেসরকারি ইন্সটিটিউট থেকে ভাড়া করা লোক এনে মানববন্ধন করার অভিযোগও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
দাবি আদায়ে চতুর্থ দিনের মতো সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমন্বয়ক ড্যাব রমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. প্রফেসর শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন যৌক্তিক। ২৪ -এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিপক্ষে যার অবস্থান। তাকে কেন এখনো অপসারণ করা হচ্ছে না, সেটা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতেই আন্দোলনে নেমেছে। তাকে অপসারণ করা না হলে এই দুটি প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদ কায়েম হবে এবং কোনো সংস্কার হবে না। এ কারণে আমরা শাটডাউন ও কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালের আউটডোর-ইনডোরে আমরা চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই কর্মবিরতি পালন করবো। যদি তাতেও তাকে অপসারণ করা না হয় তাহলে বুধবার সকাল থেকেই আমার হাসাপাতাল ও কলেজ শাটডাউনে যাবো।
এর আগে ক্যাম্পাসে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেন তারা। গত ২৯ অক্টোবর ডা. মাহফুজকে পদোন্নতি দিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করার পর থেকেই চলছে আন্দোলন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। তিনি পদে থাকার জন্য ক্যাম্পাসে না গিয়ে তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন তদবির অব্যাহত রেখেছেন।
সমাবেশে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি ডা. প্রফেসর মাহমুদুল হক সরকার জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া, শহীদ আবু সাঈদের ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিং করতে চাপ প্রয়োগকারী এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী ডাক্তার মাহফুজকে এখনো কেন অপসারণ করা হচ্ছে না সেটা বোধগম্য নয়।
সমাবেশে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সভাপতি ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘ ডা. মাহফুজ একজন চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ব্যক্তি। যা তিনি তার ব্যাক্তিজীবনেও লালন করেন। যিনি আওয়ামী লীগের সকল ধরনের ক্ষমতা ভোগ করে ক্যাম্পাসকে ফ্যাসিবাদের চারণভূমিতে পরিণত করেছিলেন। নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন। তার সাথে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের কোনো চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী নাই।
পদ টেকাতে ভাড়া করা লোক দিয়ে মানববন্ধন করার অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘সচেতন রংপুরবাসী মানববন্ধন করেছে। ওই মানববন্ধনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওই মানববন্ধন করেছে। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা