‘আ’লীগ জামায়াত-শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল’
- নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
- ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৬
‘আওয়ামী লীগ জামায়াত-শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের বক্তারা। তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী খুনি শেখ হাসিনার হুকুমে লগি-বৈঠার বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল এবং আমাদের নেতাকর্মীদের শূন্য করতে চেয়েছিল।’
তারা বলেন, ‘আগামীতে আর কোনো অপশক্তি যেন এরকম তাণ্ডব চালাতে না পারে সেজন্য আমাদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বেশি জামাত-শিবিরের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে। আজ তারা দেশ ছাড়া হয়েছেন। তাই সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। সুন্দর এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।’
আলোচনা সভায় জেলা মজলিসের শূরা সদস্য ও উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার আমির মো: আনোয়ারুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা শাখার নায়েবে আমির মুহাদ্দিস ড. এনামুল হক, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সেক্রেটারি সৈকত হোসেন, দিনাজপুর দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি হাফিজুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ জামায়াতের আমির অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি মো: রেজাউল ইসলাম, উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা পেশাজীবি সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহিম, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ওবায়দুল ইসলাম, দিনাজপুর দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা মুফাছছিরিন সভাপতি হাফেজ রহমতুল্লাহ আজাদী, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো: মশফিকুর রহমান, জেলা দক্ষিণের ছাত্র শিবিরের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি সেলিম রেজা, সহকারী যুব সেক্রেটারি জাকির হোসেন, নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহকারী সেক্রেটারি রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা