২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মোসলেমের কাজ একটাই, নামাজের দাওয়াত দেয়া

- ছবি : নয়া দিগন্ত

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসন্দা মোসলেম উদ্দিন প্রধান (৬৪)। পথে-প্রান্তরে ঘুরেন হ্যান্ডমাইক নিয়ে। হেঁটে চলেন হাট-বাজার ও শহরে। নামাজের দাওয়াত দেন মুসলিমদের। এভাবে ১০ বছর ধরে হ্যান্ডমাইকে নামাজের আহ্বান করছেন তিনি।

মোসলেম উদ্দিন প্রধান বাড়ি ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের মরহুম মহিম উদ্দিন প্রধানের ছেলে।

সম্প্রতি সাদুল্লাপুর শহরে তাকে দেখা যায়। এ সময় নামাজের আহ্বান করছিলেন।

জানা গেছে, ছেলে-মেয়েসহ সাত সন্তানের জনক তিনি। বয়স যখন ৪০, তখন পাটের ব্যবসা করে তার সংসার ভালোই চলছিল। এরই মধ্যে এ ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হন। এরপর জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে রিকশা চালাতেন। সেখানে তাকে নামাজের তাগিদ দিতেন মসজিদের মুসল্লিরা। এরপর থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শুরু করেন। সেই থেকে আর কখনো নামাজ মিস করেননি। ধীরে ধীরে আল্লাহ ভক্ত হয়ে পড়েন। ধারবাহিকতায় ১০ বছরে আগে ঢাকা ছেড়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। নিজের টাকায় কেনেন একটি ব্যাগ ও হ্যান্ডমাইক। প্রত্যেক দিন সকালে বেড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন শহর ও হাট-বাজারে। পায়ে যেন তার বাহন। হেঁটে চলেন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তরে। কাজ একটাই, নামাজের জন্য সবাইকে দাওয়াত দেয়া। এছাড়া আজানের আগ মুহূর্তে হ্যান্ডমাইকে নামাজের আহ্বান করে চলেছেন।

বিশেষ করে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরে তাকে মাইকিং করতে দেখেনি, এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে। এছাড়া ধাপেরহাট, মীরপুরহাট, ঘোগার বাজারসহ আরো বেশ কিছু এলাকায় হ্যান্ডমাইক নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে এই মোসলেমকে।

মোসলেম উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘কোরআনে আল্লাহ বলেছেন নিজে নামাজ পড় এবং অন্যকেও নামাজ পড়তে বলো। ইসলামের এই আদর্শ মেনে হ্যান্ডমাইকে হেঁটে হেঁটে মুসলমানদের নামাজ পড়ার আহ্বান করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছেলে ইয়াসিন আলী একটি পোশাককারখানায় চাকরি করে। এ দিয়ে সংসার চলে আমাদের। মানুষকে নামাজের দাওয়াতের বিষয়টি পরিবারের সবাই উৎসাহ দেয়। আমি যখন মাইকে নামাজের আহ্বান করি তখন অনেক লোক আমার দাওয়াত গ্রহণ করে।’

সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘মোসলেম চাচাকে কয়েক বছর ধরে চৌমাথা মোড়ে দেখি। তিনি হ্যান্ডমাইক নিয়ে ঘুরে ঘুরে মানুষকে নামাজের দাওয়াত দেন। এটি একটি খুবই ভালো কাজ।


আরো সংবাদ



premium cement