ধীর গতিতে যমুনার নদী ভাঙন প্রকল্প, নদীগর্ভে ২ শতাধিক বাড়ি
- সোহাগ খন্দকার, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
- ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৫, আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬
যমুনা নদীর পানি কমার সাথে সাথে বেড়েছে নদী ভাঙন। চোখের সামনে বসত বাড়ি বিলীন হচ্ছে যমুনা নদীতে। ভাঙন এলাকার লোকজন নিজের ঘর-বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি এলাকায় যমুনা নদীতে দেখা দিয়েছে এমন ভাঙন। এদিকে ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদী ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের কাজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ (পূর্ব) দিঘলকান্দি গ্রাম ছাড়াও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮টি ব্যারাকে ৯০টি পরিবার রয়েছে। এ প্রকল্পসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনবসতি ও আবাদি জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে দক্ষিণ দিঘলকান্দি গ্রাম ও পাশে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্প। গত দুই মাসে কমপক্ষে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি ও তিন শ’ বিঘা আবাদি জমি বিলীন হয়েছে যমুনা নদীগর্ভে। আরো দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি ভাঙনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জুলাই মাসে যমুনার ভাঙন থেকে সাঘাটা বাজার, সাঘাটা থানা ভবন ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রক্ষায় ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সাঘাটা বাজারের উত্তরে মুন্সিরহাট থেকে দক্ষিণে চিনিরপটল পর্যন্ত সংরক্ষণ কাজ হাতে নেয়া হয়। তিন পর্যায়ে দরপত্র আহ্বান করে ১৩ জন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তখন থেকে দীর্ঘ ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে কারো জানা নেই। এ কারণে এ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ ও সুফল নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ভাঙনকবলিত এলাকাবাসীর মধ্যে।
করিম উদ্দিন শেখ (৫৪) নামে এক কৃষক বলেন, ‘ঘর-বাড়ি বাঙি গেচে, তার জন্নে হামরা সোরকারের কাচে ট্যাকা চাইনে। হামরা চাই, সোরকার নদি ভাঙা বনদো করুক।’
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসাহাক আলী জানান, ‘নদী ভাঙন কবলে পড়া পরিবারগুলো নিরাপদ স্থানে বসতি স্থাপন করছে। তাদের তালিকা করে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।’
সাঘটার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য সহায়তা করা দরকার। কিন্তু আমাদের হাতে এখন কোনো কাজ নেই, বরাদ্দও নেই। তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতিও নেই।’
গাইবান্ধা পাউবো-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘ওই চরাঞ্চলের জন্য নদী ভাঙন রোধে আপাতত কোনো কর্মসূচি নেই। তবে যমুনার ভাঙন রোধে সাঘাটার হলদিয়া হতে ফুলছড়ি পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের আওতায় সিসি ব্লক স্থাপনসহ নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলছে। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রকল্পটির কাজ এ বছর শেষ হবে না। ওই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ ও সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা