১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

১২ বছর আগে শিবিরকর্মী হত্যা : সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক এমপি ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী - ছবি : নয়া দিগন্ত

চিরিরবন্দর উপজেলায় মোজাহিদুল ইসলাম (১৪) নামে এক শিবিরকর্মীকে ১২ বছর আগে হত্যার ঘটনায় দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এমপি ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

এ মামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চিরিরবন্দর থানায় নিহত মোজাহিদুল ইসলামের বড় ভাই নাজমুজ শাহাদাত এ মামলা করেন।

নিহত মোজাহিদুল ইসলাম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি বেশার পণ্ডিতপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর ভাই শামীম হাসান, খানসামা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী, চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, শাফিয়ার রহমান, নুর ইসলাম, আহসানুল হক, আজিম উদ্দিন সরকার ও মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সারা দেশে হরতাল ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে। আগের দিন সন্ধ্যায় হরতালের সমর্থনে রানীরবন্দর এলাকায় জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয় ও লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালায়। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন মোজাহিদুল ইসলাম। পরে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত হয়। এ ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়।’

মামলার বাদি নাজমুজ শাহাদাত মুঠোফোনে বলেন, ‘তাদের বাবা খানসামা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ছিলেন। তিনি নিজেও ইছামতি ডিগ্রি কলেজ শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি। তার ভাই মোজাহিদুল ইসলাম শিবিরের কর্মী ছিল। এত দিন মামলা না করা এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন আসামিরা। উল্টা তার নামে বিভিন্ন সময় ৩২টি এবং তার বাবার নামেও ২৮টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি তার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চান।’

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘২০১২ সালে এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement