সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা আলাউদ্দিনে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- রংপুর ব্যুরো
- ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২:১২
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় জেলা রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক ভিপি ও কাস্টমস কর্মকর্তা আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। পাশাপাশি সম্পদ ক্রোকের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজির এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের আইনজীবি হারুন উর রশীদ জানান, সাবেক কাস্টমস সুপার আলাউদ্দিন মিয়া সরকারি চাকরি করাকালীন বিভিন্ন দলিলমুলে মোট ৮১৫ দশমিক ৯৩ শতক জমিসহ স্থাপনার মুল্য পাঁচ কোটি ৯৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকায় ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জন করেন। তিনি এবং তার ভাই মো: শাহাজাদা যৌথ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত মোট এক কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার ৭২৫ টাকাসহ আলাউদ্দিন মিয়ার মোট স্থাবর অস্থাবর সম্পদের মূল্য সাত কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৫ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৫১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৯ টাকা মুল্যমানের জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূতসম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪ সালের ২৭ (১) ধারায় মামলা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন জানান, তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহিরর্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ছোট ভাই শাহাজাদার বিরুদ্ধে চার্জসিট দাখিল করা হয় গত মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর। ওই দিন আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য রোববার (৬ অক্টোবর) দিন ধার্য করে আদালত।
আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি এবং তাদের মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ২৬ নভেম্বর।
দুদক সূত্র জানায়, আলাউদ্দিন মিয়া কাস্টমস বিভাগের সুপার পদে থাকাকালিন বিপুল পরিমান অর্থবিত্তের মালিক হন। তিনি অবসর গ্রহণের পর প্রথমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হন। এরপর তিনি রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক হন। ছাত্রজীবনে তিনি কারমাইকেল কলেজের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।
সম্প্রতি দলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে রংপুর মহানগরীর সেনপাড়ায় সমাজ কল্যাণ বিদ্যাবিথি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের চেম্বারে গিয়ে তাকে কলেজ গর্ভনিং কমিটির সভাপতি করার জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে পকেটে থাকা পিস্তল বের করে অধ্যক্ষকে কয়েক দফা গুলি করতে উদ্যত হন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়। পরে পুলিশ তার পিস্তলটি তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে জানতে আলাউদ্দিন মিয়া ও তার ছোট ভাই শাহাজাদা মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবং রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক জানান, কোনো ব্যক্তি দায় বহন করবে না দল। এ বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান এবং দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা