ভারীবর্ষণে তিস্তার নিচু এলাকা প্লাবিত
- মো: রেজাউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
- ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৯
টানা ভারীবর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে তিস্তার পানি ডুবছে নিচু এলাকা। পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন চরে।
পৌর সভার রামডাকুয়া এলাকা অবস্থিত কেন্দ্রীয় শ্মাশানঘাটে পানি উঠেছে। ঠেকানা যাচ্ছে না অব্যাহত ভাঙন। নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। পানি বাড়ায় চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। ভারীবর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার শাখা নদীর আশপাশ ডুবে যায় পানিতে। একইসাথে শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছরব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি, স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ, ড্রেজিং, নদী খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সরকার। যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
লালচামার গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল হামিদসহ অনেকে জানান, ভারীবর্ষণে হঠাৎ করে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করায় নিচু এলাকা ডুবে গেছে। নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা এলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না।
হরিপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর গ্রামের সাঞ্জু মিয়া বলেন, পানি বাড়লে চরের মানুষের দুঃখও বাড়ে। প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে চারবার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজো স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।
হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মোজাহারুল ইসলাম জানান, পানি বাড়ায় তার গোটা ইউনিয়নের নিচু এলাকা ডুবে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। পাশাপাশি ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রাশিদুল কবির জানান, হঠাৎ ভারীবর্ষণের কারণে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমিতে পানি উঠছে। পানি স্থায়ী হলে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভাঙনের কারণে কিছু চর এলাকায় ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। এতে করে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ওয়ালিফ মন্ডল জানান, হঠাৎ ভারীবর্ষণের কারণে তিস্তার নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কিছু কিছু চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগকে খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে ত্রাণ সরবরাহ করা হবে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ী ভাবে ভাঙন রোধ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা