৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

গাইবান্ধায় দাফনের ২৫ দিন পর নারীর লাশ উত্তোলন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় দাফনের ২৫ দিন পর কবর থেকে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য জান্নাতী বেগম (৩০) নামের এক নারীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়।

জান্নাতী বেগম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ছালদার হোসেনের মেয়ে এবং মধ্যপাড়া গ্রামের সোরহাব হোসেনের স্ত্রী।

এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় ডিস লাইনের তার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জান্নাতী বেগমের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন গাড়ি ভাড়া করে লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করে। এ ঘটনার সাত দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর জান্নাতী বেগমের মামা ছকু মিয়া স্বামী সোরহাব হোসেনসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

স্বজনদের অভিযোগ, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, বিয়ের পর থেকেই জান্নাতীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। তাকে মারধর করে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর নাটক সাজানো হয়।

মামলার বাদী ছকু মিয়ার অভিযোগ, জান্নাতীর লাশ নিয়ে আসার পর গোসল করার সময় গলা, বাম পাজর ও বাম হাতে রক্তাক্ত জখম দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত কিছু লোকজনের কাছে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জান্নাতীর লাশ দাফন করা হয়। মূলত মারধর ও নির্যাতনের কারণেই জান্নাতীর মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জান্নাতীর স্বামী সোরহাব হোসেনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, ‘কোনো নির্যাতন ও মারধর করা হয়নি জান্নাতীকে। ডিস লাইনের তার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে।‘

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিনের উপস্থিতিতে ওই নারীর লাশ আজ কবর থেকে তোলা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement