২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ফুলবাড়ীতে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব, এক গ্রামেই ১২ গরুর মৃত্যু

ফুলবাড়ীতে ক্ষুরা রোগের প্রাদুর্ভাব, এক গ্রামেই ১২ গরুর মৃত্যু - ছবি : নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজলায় গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১৫ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এক গ্রামেই ১২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক গরু খামারি এবং সাধারণ গরু পালনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে ভাইরাস জনিত এ রোগের সঠিক চিকিৎসা দিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা নাই বলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানাসহ গোটা উপজেলায় ব্যাপকভাবে গরুর ক্ষুরা রোগ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গরুগুলোর শরীরে প্রথমে কাপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এরপর মুখ দিয়ে ক্রমাগত লালা পড়তে থাকে এবং খাদ্য গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে দুই-তিনদিনের মধ্যে গরু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। চিকিৎসার পেছনে অনেক টাকা খরচ করলেও আক্রান্ত গরুগুলোকে বাঁচাতে পারেননি মালিকেরা। গত ১৫ দিনের মধ্যে চন্দ্রখানা গ্রামে ১২টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামের নাজমা বেগমের দুটি, মোবারাক আলীর একটি, লিয়াকত আলীর একটি, টুনকু মিয়ার একটি, রতন মিয়ার দুটি, আশরাফুল আলমের একটি, চন্দ্রখানা কুমার পাড়ার লিটন মিয়া একটি, আব্দুস সামাদের একটি, বাবলু মিয়ার একটি গরু মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই রোগে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

উপজেলার পানিমাছকুটি গ্রামের ফরহাদ হোসেন জানান, ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার পৌনে দুই লাখ টাকা মুল্যের একটি গরু মারা গেছে। বাড়ির বাকি গরুগুলোর অবস্থাও ভালো নয়।

আটিয়াবাড়ী গ্রামের গরুখামারী জাইদুল হক জানান, ক্ষুরারোগে আক্রান্ত গরুগুলোকে নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় আছি।

গরু মারা যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত নাজমা বেগম ও মোবারক আলী জানান, সংবাদ দেয়ার পরও প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো লোক চিকিৎসা দেয়ার জন্য আসেনি। স্থানীয় পল্লী পশু চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করে প্রচুর টাকা খরচ হলেও গরু বাঁচেনি।

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়েছি চন্দ্রখানা বজরের খামার গ্রামে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন-চারটি গরু মারা গেছে। মূলত ওই গ্রামের একজন কষক বাজার থেকে একটি রোগাক্রান্ত গরু কিনে নিয়ে যাওয়ায় এই রোগটি অন্য গরুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। রোগাক্রান্ত গরুগুলোকে সুস্থ গরু থেকে আলাদা রাখতে হবে। আর অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা নিব।


আরো সংবাদ



premium cement