ঢাবি ক্যাম্পাস জুড়ে ইফতারের আমেজ
- মোরশেদ মুকুল
- ১০ মে ২০১৯, ১৫:৪১
রমজানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাস্পাস জুড়ে ও প্রতিটি হলে ইফতারকে কেন্দ্র করে চলছে উৎসবের আমেজ। এলাকা, বিভাগ ও বিভিন্ন উপলক্ষকে সামনে নিয়ে গড়ে উঠা বিভিন্ন সংগঠনে সিনিয়র জুনিয়র মিলে এক একটা সম্মিলনীতে পরিণত হচ্ছে প্রতিদিন।
ঢাবির হলগুলোতে দেখা যায়, বেলা নেমে আসতে আসতেই শুরু হয়ে যায় ইফতারের প্রস্তুতি। ছোলা মুড়ি, পিঁয়াজি, জিলাপি, বেগুনি কেনার ধুম। যারা ইফতারের আরো জৌলুস বাড়াতে চান তারা যোগ করেন, কলা, আনারস, তরমুজ, বাঙ্গি, লিচুসহ হরেক রকম মৌসুমি ফল।
কেউ কেনেন হলের গেইট থেকে আবার কেউ নিয়ে আনেন পলাশী থেকে। আর যাদের সামর্থ্যের আধিক্য রয়েছে তারা ছুটে যান পুরান ঢাকার চকবাজার।
দেখা যায়, স্যার এ এফ রহমান হল, বেগম রোকেয়া হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীম উদদীন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলসহ প্রায় সবকটি হলের সামনেই বাহারি ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।
জিয়াউর রহমান হলের এক দোকানি জসিম উদ্দীন বলেন, এখানে ছোলা, মুড়ি, বেগুনি, পেঁয়াজুসহ অনেক আইটেমের ইফতারি বিক্রি করছি আমরা। বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দেখা যায়, হলের গেইটে, মসজিদ, দোকান ও ডাইনিংয়ের সামনে সাটানো হয়েছে গড়ে উঠা সংগঠনগুলোর ব্যানার। ব্যানারে জানান দেয়া হচ্ছে তাদের তৎপরতা ও ইফতার সম্মিলনীর।
এদিকে হলের রুমে, মাঠে বিকেলের পর থেকেই শুরু হয় ইফতার উৎসব। এসব আয়োজনে উপস্থিত হচ্ছেন বন্ধু, সহপাঠী, ছোট ভাই, বড় ভাইয়েরা। সকলের সম্মিলনে এই ইফতারের আয়োজন যেন ভুলিয়ে দেয় সব বাধা ব্যবধান।
জিয়া হলের হলের এক শিক্ষার্থী রাশেদুল হক জানান, সবাই মিলে ইফতার করার গুরুত্ব অনেক। এতে করে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়। পরিবারের সদস্যের ছাড়া ইফতারের ব্যথা খানিকটা হলেও ভুলে থাকা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে যাদের সাথে বছরের অন্য সময় সাক্ষাৎ মিলে না তাদের সাথেও সাক্ষাতটা হয়ে যায়। এই একটি দিনের জন্য আমরা এক বছর অপেক্ষায় থাকি। এটি আমাদের মিলনমেলা, প্রীতি ও সৌহার্দ্যের উৎসব।
কার্জন হলের মাঠে গোল করে বসে ইফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আসিফ, সোহান, তানভীর, রকিব ও জিহাদ। এসেছেন ভিন্ন ভিন্ন হল থেকে। আবার কেউ এসেছেন বাইরে থেকে।
জসীম উদদীন হলের শিক্ষাথী সোহান বলেন, সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে ইফতার করছি। আয়োজনটা ছোট হলেও এখানে আছে ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা আর ভালোলাগা।