বগুড়ায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কলেজছাত্র হত্যাচেষ্টা মামলা
- বগুড়া অফিস
- ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩১
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৯ জনের নামে বগুড়ায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০০-৪০০জনকে।
মামলার বাদি শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা কাজীপাড়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে ও সদর উপজেলার বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাওন ইসলাম।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় এর আগে আরো ছয়টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যা এবং অপর একটিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, এ কে এম আসাদুর রহমান ও সাগর কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, বগুড়া বাস মিনিবাস পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন সরকার, কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখ, আরিফুর রহমান আরিফ, সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহীম হোসেন, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিল, তুফান সরকার, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ আহম্মেদ, তৌহিদ, স্বপন সরকার, সোহাগ সরকার, মশিউর রহমান মন্টি, পিয়াল, নূর আলম নয়ন, বেনজিরসহ অনেকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ার বড়গোলা ঝাউতলা এলাকায় মিছিলের ভিতরে গেলে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ৪-৭ নম্বর আসামির নেতৃত্বে বাকি আসামিরা পেট্রোল বোমা, ককটেল, পিস্তল, কাটা রাইফেল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। মামলার বাদিসহ জনতা নিষেধ করলে মামলার ৩৮ নম্বর আসামি আল রাজী জুয়েল তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুলি বাদির পায়ে লাগে। একই সাথে মামলার ২২ নম্বর আসামি জাকারিয়া আদিল তার শটগান দিয়েও এলোপাতাড়ি গুলি করে। তবে বাদি সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর বাদিকে উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ১২ আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বাদি তার বাবার মাধ্যমে সদর থানায় এজাহার প্রেরণ করে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ এসব তথ্য জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা