রাজশাহীতে ব্যবসায়ীকে গুমের অভিযোগে র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা
- রাজশাহী ব্যুরো
- ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৪১
রাজশাহীতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে (৩০) তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। গুমের শিকার ইসমাইলের স্ত্রী নাইস খাতুন মামলাটি করেছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গোদাগাড়ী আমলি আদালতের বিচারক লিটন হোসেন এ নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে র্যাবের রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পে ২০১৬ সালে কর্মরত সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলার আবেদন করেন নাইস খাতুন। আদালত এদিন মামলাটি আদেশের জন্য রেখে দেন। আর বৃহস্পতিবার সকালে আদালত মামলা গ্রহণ করে আদেশ দেন।
নাইসের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নাইসের মামলায় আসামিরা হলেন র্যাব-৫-এর তৎকালীন রাজশাহী রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শাহিনুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত মজুমদার, দুলাল মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, ল্যান্স নায়েক মাহিনুর খাতুন, সিপাহি কহিনুর বেগম ও কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।
মামলার বাদি নাইস খাতুনের বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ী আলীপুর মহল্লায়। নাইসের অভিযোগ, তার স্বামী ইসমাইল হোসেনকে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড় থেকে র্যাব সদস্যরা তুলে নিয়ে যান। তিন দিন পর অন্য এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর থেকে ইসমাইল ফোন দিয়ে পরিবারকে জানান, তিনি র্যাবের হেফাজতে আছেন।
নাইস খাতুন আরো জানান, র্যাব সদস্যরা যখন ইসমাইলকে তুলে নিয়ে যান তখন অনেকেই দেখেছেন। এ ছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার দুই ব্যক্তি র্যাব ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় সেখানে ইসমাইলকে দেখেছেন। র্যাব ক্যাম্পে আগে থেকে অবস্থান করা ওই দুই ব্যক্তিকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু ইসমাইলকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। এখন পর্যন্ত খোঁজও মেলেনি তার।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আয়নাঘর থেকে কেউ কেউ ফিরে এলে ইসমাইলের ছোট ভাই ইউসুফ আলীও ঢাকায় যান। গুমের শিকার অন্যদের স্বজনদের সাথে তিনি কয়েক দিন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেন আয়নাঘরের সামনে। ইসমাইলের ছোট দুই সন্তানও অপেক্ষায় থাকে বাবার। কিন্তু ইসমাইলকে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হয়েছে ইউসুফকে। এর পরই র্যাবের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।