২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বগুড়ায় হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজবজীবন ও প্রেমিকের ফাঁসির আদেশ

বগুড়ায় হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজবজীবন ও প্রেমিকের ফাঁসির আদেশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার আলোচিত জামাল উদ্দিন খাজা হত্যা মামলায় তার স্ত্রী জেসমিন আকতারের (৫২) যাবজ্জীবন ও প্রেমিক মোজাফফর হোসেনের (৬০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাসিমুল হক হলি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর সকালে বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে জামাল উদ্দিন খাজার (৫৮) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জামাল বৃন্দাবনপাড়ার মৃত আমির হোসেন খলিফার ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। হত্যার সাথে জড়িত মোজাফফর হোসেনকে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি নিহত জামাল উদ্দিন খাজার আপন ভগ্নীপতি। মোজাফফর শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট এলাকার মরহুম অছিমুদ্দীনের ছেলে। গ্রেফতার মোজাফফর হত্যার কথা শিকার করে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আকতারের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল।
তাকে (জেসমিন আকতার) বিয়ে করার উদ্দেশে দুইজনে পরিকল্পনা করে জামাল উদ্দিন খাজাকে হত্যা করা হয়। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর জামাল উদ্দিন খাজার বোন আম্বিয়া মারা গেলে তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ শাজাহানপুর উপজেলার ফুলদিঘী গ্রামে জানাজায় অংশ নিতে যান। পরিবারের লোকজনসহ মোজাফফরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফুলদিঘী থেকে জামাল উদ্দিন খাজার স্ত্রী তার ছেলে রিমনকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়ি সদর উপজেলার চাঁদমুহ্ হরিপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে যোগ দিতে যান। জামাল উদ্দিন খাজা সন্ধ্যার পর বগুড়া শহরের বৃন্দাবনপাড়ার নিজ বাড়িতে যান। সেই সুযোগে রাতে মোজাফফরও বৃন্দাবনপাড়ায় যান। স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে দুজনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে থাকা লোহার শাবল দিয়ে জামাল উদ্দিন খাজার মাথায় আঘাত করে ভগ্নিপতি মোজাফফর। পরে লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান। পরদিন সকালে জামাল উদ্দিনের ছেলে জেমস রিমন বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দেয়াল টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে তার বাবার লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জেমস রিমন মোজাফফর হোসেন এবং তার মা জেসমিন আকতারের নামে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে দুইজনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। এরপর শুনানি শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement