রাজশাহীতে সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২ মামলা

সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। মামলা দু’টিতে ফারুক চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

ওসি আতাউর রহমান জানান, রোববার (২৫ আগস্ট) রাতেই পরপর এ দু’টি মামলা রেকর্ড করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। তাই মামলা দু’টি তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারে দ্রুত অভিযান শুরু হবে।

ওসি আরো জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী আব্দুল হামিদ বাবলু প্রথম মামলাটি করেছেন। তার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলা সদরের ডাইংপাড়া মোড়ে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালানো হয়। ওইদিন হামলার সময় গুলিও বর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হন। তাই ছাত্রজনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আর এতে ওমর ফারুক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের আরো ৪৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৫০০ থেকে ৬০০ জন নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদিকে, গোদাগাড়ী থানার দ্বিতীয় মামলাটি করেছেন এ উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের তসিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে নিজের পক্ষের নেতাকর্মীদের দিয়ে নৌকায় সিল মারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। এ মামলায় তাই সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় ২২ জন আসামি ছাড়াও এ মামলায় আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।