নাটোরের সাবেক এমপি শিমুলও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা
- নাটোর প্রতিনিধি
- ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১৬:২৪
নাটোর-২ আসনের (সদর-নলডাঙ্গা) সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নাটোর থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন ও আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাইফুল ইসলাম আফতাব এ দু’টি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সাবেক এমপি শিমুলের ছোট ভাই সাজেদুল ইসলাম সাগর, তাদের ঘনিষ্ঠজন বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও অ্যাডভোকেট সায়েম হোসেন উজ্জল এবং গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলন ও তাদের সহযোগী নাটোরের তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কোয়েল, তার ছোট ভাই কানন ও সেলিম ওরফে কুত্তা সেলিম এবং নলডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাহতাব হোসেন।
মামলায় বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ নাটোরের আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে নাটোরের সড়ক ও জনপথ অফিসের সামনে দু’টি গাড়িতে এসে তার ওপরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার পায়ে তিন রাউন্ড গুলি ও বেধড়ক মারধর করে। পরে মৃত ভেবে তার গলার হোয়াইট গোল্ডের চেইন ও নগদ টাকা নিয়ে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। সাবেক এমপি শিমুলসহ এই মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অপর আরেকটি মামলায় বলা হয়, গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফজরের নামাজ পড়ে শহরের ষ্টেশন বাজারে নিজের বাড়ির পাশে অন্যদের সাথে তিনি গল্প করছিলেন। সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে তার ওপরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় তার মেরুদণ্ডের পাশে ও পায়ে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সাবেক এমপি শিমুলসহ মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর গুরুতর আহত দু’জনকেই প্রথমে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকায় পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তারা সুস্থ্য রয়েছেন।
বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের পর দেশ মুক্ত হওয়া দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ায় নাটোর থানায় হাজির হয়ে তারা মামলা দু’টি দায়ের করেন।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান উভয় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।