রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি
- রাবি প্রতিনিধি
- ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮:০৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: শাফিউল আলমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্কুলের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ সময় কলেজের শিক্ষক-অভিভাবকরাও এ আন্দোলনে অংশ নেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এ সময় তারা অধ্যক্ষের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরেন।
স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহসান আদিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্বে রয়েছেন কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনে কোনো সফলতার পরিচয় দিতে পারেননি। পূর্ববর্তী সময়ে আমাদের স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস হতো সেটাও এখন বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবক এবং শিক্ষকদেরও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়েছেন তিনি। তিনি একজন অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। এমন কাউকে আমরা প্রাধ্যক্ষ হিসাবে দেখতে চাই না। যতদ্রুত সম্ভব তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
কানিজ ফাতেমা নামের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে আসছেন। স্কুলের বেতন রশিদ নিতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় না। তিনি আমাদের যোগ্য মর্যাদা দেয়নি। বিভিন্ন কম্পিটিশনে আমি অংশগ্রহণ করেছি কিন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনসহ যাবতীয় কাজে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি। পাশাপাশি তিনি সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়ালিউল কবির বলেন, আমরা যখন স্কুলে ছিলাম তখনো তার দুর্নীতি কথা বলেছি যদিও কোনো কাজে আসেনি। তবে এখন সময় এসেছে সোচ্চার হওয়ার। দীর্ঘ ১০ বছর পরেও এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি বরং নৈরাজ্য আরো বেড়েছে। ফলে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমরা সাবেকরাও এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। প্রিন্সিপালকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান প্রিন্সিপাল দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শুধু দুর্নীতি করেছে যার ফলে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষরাও এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। উনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে আর্থিক বিষয়ে অনিয়ম করেছেন এবং অনেকের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন। শিক্ষকদেরকে কখনো মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয়নি, শিক্ষকদের গলা চেপে ধরে তাদের জোরজবরদস্তি করে কাজ আদায় করে নিয়েছেন। আমাদের এক দফা দাবি তাকে পদত্যাগ করতেই হবে নাহলে আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান-সাবেক প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।