রাজশাহীতে ৯ দফা দাবিতে পুলিশ সদস্যদের বিক্ষোভ
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৭ আগস্ট ২০২৪, ২০:৪৩
রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশের সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে পুলিশ হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবিতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) লাইনসে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যদের শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন নগরীর বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার (ডিসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। পরে সেনাসদস্যরা গিয়ে তাকে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেন।
বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ করেন, সরকারের পতন হতে যাচ্ছে সে বিষয়টি আগের দিনই আঁচ করতে পেরেছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপদে চলে যান। অথচ সরকার পতনের দিনও শিক্ষার্থীদের দমন করতে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হয়। ফলে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশকে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
পুলিশের এসব হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দায় রয়েছে বলেও মনে করেন তারা। এ জন্য বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যরা ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারও দাবি করেন। একইসাথে বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ৯ দফা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে, তা বাস্তবায়নের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ থেকে আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সমালোচনা করা হয়।
এদিকে বিক্ষোভকালে পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে তাদের দাবির প্রতিফলনের আশ্বাস দেন। পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ নূরে আলম সিদ্দিকীকে আরএমপি ‘কমিশনারের দালাল’ হিসেবে আখ্যা দিতেও দেখা যায়। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন।
এ সময় পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে হট্টগোলের মাঝেই ডিসি নূরে আলম সিদ্দিকীকে পুলিশ লাইনসের প্রধান ফটক দিয়ে নিরাপদে বের করে দেন সেনা সদস্যরা। পরে একজন জ্যেষ্ঠ সেনাসদস্য বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যদের শান্ত করেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কারও সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা