বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত ৪, আহত ৫ শতাধিক
- বগুড়া অফিস
- ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৯:২৭, আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ২০:২৬
বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে কম পক্ষে চারজন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছে। সারাদিন শিক্ষার্থীদের সাথে আইশৃঙ্খলাবাহিনীর দফায় দফায় সংঘের্ষে হতাহত ছাড়াও ব্যপক ক্ষয়খতি হয়েছে।
শহরের বড়গোলা, টিনপট্টি, বাদুড়তলা, স্টেশনরোড, শেরপুর রোড়, গোহাইল রোড, গালাট্টি, নবাববাড়ী রোড, জলেশ্বরীতলাসহ মূল সাতমাথায় দখলে দেয় আন্দোলনকারীরা।
এ সময় আন্দোলকারীরা বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুরুল আলমের ব্যাক্তিগত কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সাংসদ রাগেবুল আহসান রিপু বাড়িতে আগুন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির কার্যালয়, জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে আগুন, ভাঙচুর, ব্রাক ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাঙচুর, প্রধান পোস্ট অফিস, টিএনটি ভবন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, জাসদ অফিস, সদর উপজেলা ভূমি অফিস। বিআরটিসি ট্রাক ডিপোতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসেও আগুন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিবগঞ্জের সেলিম উদ্দিন (৪৫) তিনি একটি কোটিং সেন্টারের পরিচালক। তিনি জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। বাকি নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পুলিশের গুলিতে নিহত মনির নামের ব্যক্তি। তিনি থানা ঘেড়াও করার সময় নিহত হন।
বেলা ১১টা পর্যন্ত বগুড়া সাতমাথা আন্দোলনকারীদের দখলে থাকলেও বর্তমানে পুলিশের দখলে রয়েছে। তবে সাতমাথার বীরশ্রেষ্ট স্কয়ার থেকে দেরশোগজ দূরে অবস্থান নিয়ে আছে আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ও বিজিবি সর্বক্ষণ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ছে। অপর দিক থেকে আন্দোলনকারীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। দিনের প্রথম প্রহরে সকাল ৯টার দিকে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মীরা হাতে লাঠি নিয়ে সাতমাথায় অবস্থান নেয়। এ সময় কিছু আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। তবে সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন সড়ক থেকে আন্দোলনকারীরা সাথমাথায় প্রবেশ করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল করে করে তোলে বগুড়া শহর। ওই সময় পুলিশ সার্কিট হাউস এলাকায় অবস্থান নিয়ে থাকে। ১১টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতের ভেতর ভেকে কিছু আইনজীবী একটি মিছিল নিয়ে বের হয়ে সাতমাথায় প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশরাও সাতমাথার দিকে এগুলো দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। বর্তমানে শহরের বড়গোলা, জলেশ্বরীতলা, সাতানীবাড়ি, রেলস্টেশন এলাকা, গোহাইল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক লাখ আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়ে আছে ও সড়কের ওপর টায়ার ও বিভিন্ন কাঠের গুড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
দুপচাঁচিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার। এবং বগুড়ায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র বলেন আন্দোলনকারীরা আমাদের থানায় আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা