২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বগুড়ায় নারী-শিশুসহ ৭ জন নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি

বগুড়ায় নারী-শিশুসহ ৭ জন নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি - প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ সাতজনের গত চার দিন ধরে কোনো সন্ধান মিলছে না। তারা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় জিডি করা হয়েছে। গত ৩ জুলাই বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে এক সাথে নিখোঁজ হন তারা সাতজন।

নিখোঁজ নারী ও শিশুরা হলেন পরিবারের প্রধান জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩০) তার তিন সন্তান সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৩), জমজ দুই ছেলে হাসান (৬), হোসেন (৬), শাশুড়ি ফাতেমা বেবি (৫০) শ্যালক বিক্রম আলী (১৩) ও শ্যালিকা রুনা খাতুন (১৭)।

জীবন মিয়া জানান, তিনি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা। তার শ্বশুরবাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরে। গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন তিনি। একই বাসায় স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকা বসবাস করে। তার শাশুড়ি নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন এবং তিনি পুরাতন ফ্রিজ কেনা বেচার দোকান পরিচালনা করেন।
জীবন মিয়া বলেন, গত ৩ জুলাই দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে এসে দেখতে পান বাসায় কেউ নেই। স্ত্রীর ফোন বন্ধ। শাশুড়ির ফোন বাসাতে রেখে গেছেন। পরিধেয় কাপড় চোপড় ছাড়া অন্য কিছু তারা নিয়ে যাননি। পরে লালমনিরহাটে তার শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ নিয়ে সেখানেও সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন, লালমনিরহাটে যোগাযোগ করলে তার নানী শাশুড়ির কাছে জানতে পারেন এক মাস আগে এক ব্যক্তি তার শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভালো চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেয়। জীবন মিয়ার ধারণা অপরিচিত ওই ব্যক্তির প্রলোভনে পড়ে ভালো চাকরির আশায় তারা মানব পাচারকারীর কবলে পড়তে পারেন।

নারুলী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম জানান, ফাতেমা বেবি লালমনিরহাট যাওয়ার কথা বলে গত ২ জুলাই ছুটি নেন। ৬ জুলাই তার ফিরে আসার কথা। ফাঁড়িতে রান্নার কাজে না আসায় তাকে ফোন করা হলে জামাই ফোন রিসিভ করে নিখোঁজের বিষয়টি জানান। এরপর তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে বিস্তারিত শুনে থানায় পাঠিয়ে জিডি করার ব্যবস্থা করা হয়।

তারিকুল ইসলাম বলেন, একসাথে সাতজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে জানাগেছে, জীবন মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে কিছু দেনা থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাদের অবস্থান সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement