আ’লীগ নেতা বাবুল হত্যা মামলায় বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ গ্রেফতার
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৯:৫০
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে তাকে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়। এর আগে শুক্রবার ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, আ’লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শোয়েব খান। মামলাটির প্রধান আসামি মেয়র আক্কাছ আলীকে শনিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এই হত্যা মামলায় আগে গ্রেফতার হওয়া আসামিরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করায় মামলার নথি সেখানে রয়েছে। আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে নথি সংশ্লিষ্ট আদালতে ফেরত এলে তখন মেয়র আক্কাছ আলীর রিমান্ড শুনানি হবে।
হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেয়র আক্কাছ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মতিঝিল এলাকা থেকে আক্কাছ ও তার অপর চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে। পরে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকায় আক্কাছ আলীর সাথে গ্রেফতার হওয়া অপর চার সহযোগী আসামি মজনু, টুটুল, আব্দুর রহমান মহুরি ও স্বপনকে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়নি। রোববার (৭ জুলাই) তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বাবুল হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত প্রধান আসামি আক্কাছ আলীসহ মোট ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাকে ওই দিনই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর ২৬ জুন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
২২ জুনের সংঘর্ষের ঘটনায় সেদিন দিবাগত রাতেই থানায় মামলা করেন বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহীনুর রহমান পিন্টু। এ মামলায় বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় এ পর্যন্ত প্রধান আসামি বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীসহ মোট ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে।
অপরদিকে এ ঘটনায় আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি পাল্টা আরেকটি মামলার আবেদন করেন রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে। পরে আদালতের বিচারক মামলার আবেদনটি গ্রহণ করে তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য বাঘা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় আসামি হিসেবে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমানসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা