ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের এক দিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার

পাবনার ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের এক দিন পর জিহাদ হোসেন (৯) নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ জুলাই) ভোর ৫টায় উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মনসিদপুর তেঁতুলতলায় পরিত্যক্ত খাদ্য গুদামের ঝোপের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

নিহত জিহাদ হোসেন মুনসিদপুর গ্রামের প্রবাসী হাসেম আলীর ছেলে ও দাশুড়িয়া কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

জিহাদ হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ শুভ জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে তেঁতুলতলা পরিত্যক্ত খাদ্য গুদামের কাছে সহপাঠীদের সাথে বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা করছিল জিহাদ। আমি তাকে বৃষ্টিতে না ভিজে বাড়ি চলে যাওয়ার কথা বলে সেখান থেকে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে গিয়ে দেখি জিহাদ নেই। পরে তেঁতুলতলা গোডাউনের কাছে গিয়েও তাকে পাইনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। রাত ১২টার দিকে তেঁতুলতলা গোডাউনের ভেতরে জিহাদের হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পাওয়া যায়। শনিবার ভোর ৫টার দিকে গোডাউনের ঝোপের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় পাটিতে জড়ানো লাশ পাওয়া যায়।

দাশুড়িয়া কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন খান বলেন, জিহাদ নিখোঁজের খবর গতকাল শুনেছি, আজ ভোরে শুনতে পেলাম তার লাশ উদ্ধার হয়েছে। আমি জিহাদের বাড়িতে এসেছি। জিহাদ আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, জিহাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এছাড়া নিখোঁজের বিষয়ে বলেন, শুক্রবার (৫ জুলাই) শিশু জিহাদের মা শিউলি খাতুন ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। এদিকে আজ শনিবার (৬ জুলাই) শিশুর লাশের সংবাদ আসে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।