রাজশাহী আইএইচটি’র ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জন বহিষ্কার
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ২০:২৯
রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সিট–বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে শাস্তি হিসেবে সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হোস্টেলে অবস্থানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করে আইএইচটি কর্তৃপক্ষ।
আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন (ডেন্টাল অনুষদ ২০১৯-২০), মাসুদ পারভেজ (ডেন্টাল বি গ্যালারি ২০২৩-২৪), ফারহান হোসেন (ডেন্টাল বি গ্যালারি ২০২৩-২৪), শাহরিয়ার নাফিজ (ল্যাব এ গ্যালারি ২০২৩-২৪), পারভেজ মোশাররফ (ল্যাব এ গ্যালারি ২০২৩-২৪) ও নিলয় কুমার (রেডিওলজি এ গ্যালারি ২০২৩-২৪)। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিনকে এক বছরের জন্য এবং অন্যদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের (ফার্মেসি) সিফাতকে তিরস্কার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (ফার্মেসি) হাসানকে প্রশাসনকে না জানিয়ে হোস্টেলের সিটের জন্য অন্যদের সাথে টাকা লেনদেনের জন্য তিরস্কারের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল আমিন (ছাত্রলীগের সভাপতি) প্রথম বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলের সিট দেয়ার নামে অর্থ গ্রহণ করেন। অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। এরপর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই আদেশ কার্যকর হয়েছে ১ জুলাই থেকে।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, তিনি আইএইচটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেখেছেন। তবে এখনো তিনি ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান করছেন। শাস্তির কোনো চিঠি পাননি।
সূত্র মতে, গত ২৯ এপ্রিল আইএইচটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানকে মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় ১ মে থেকে আইএইচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো।
অভিযোগ ছিল, হাসান নামের ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলের সিটের জন্য আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিনকে ১৬ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তার পরেও তিনি সিট পাননি। ঘটনার দুই দিন আগে তিনি সভাপতির কাছে টাকা ফেরত চান। টাকা না দিয়ে সভাপতি তাকে উল্টো হুমকি দেন। পরে ২৯ এপ্রিল হাসান প্রথম গ্যালারিতে ক্লাস করছিলেন। ক্লাস শেষে হলে পাঁচ-সাতজন এসে তাকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পেটায়। হাসানের মতো আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী তখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। শাস্তিপ্রাপ্তরা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা