২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বালিয়াডাঙ্গীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে আহত ২০, কনে ছাড়াই ফেরত গেলেন বর

বালিয়াডাঙ্গীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে আহত ২০, কনে ছাড়াই ফেরত গেলেন বর - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে কনের বাবা-মা, চাচা, চাচাত ভাই, বরের বাবা, চাচা, মামা, খালুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

পরে কনে ছাড়াই বর ফেরত চলে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সনগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লালাপুর কাজিবস্তী গ্রামের তাজমুল হকের ছেলে রনি (২৩) এর সাথে সনগাঁও গ্রামের দুলাল হোসেনের মেয়ে দুলালী আক্তার অরফে সুমি (১৮) দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম ভালোবাসা করে আসত। একপযার্য়ে তাদের প্রেম ভালোবাসার বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের সম্মতিক্রমে তিন মাস আগে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে বিদায় নিতে আসে। বর পক্ষ খাওয়া দাওয়া শেষে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজনের তর্কবিতর্কের সৃষ্টির একপযার্য়ের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এরই জেরে উভয় পক্ষের লোকজন বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে একে অপরের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে বিয়ের প্যান্ডেল, চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে কনের বাবা-মা, চাচা, চাচাত ভাই, বরের বাবা, চাচা, মামা ও খালুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে কনের বাড়িতে ভোররাত পর্যন্ত সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে কনের পক্ষ থেকে বর পক্ষের কাছে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ওপর লিখিত অঙ্গীকারনামা নেয়ার পর কনেকে বরের সাথে বিদায় দেয়ায় কথা প্রকাশ করলে এতে বর পক্ষের লোকজন তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় সালিশ বৈঠকও পণ্ডু হয়ে যায়। পরে কনে ছাড়াই বর বাড়ি ফেরত চলে যায়।

কনে পক্ষ জানায় শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষ আবার বৈঠকে বসব। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কনেকে পাঠাব।

কনে পক্ষের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনায় বরপক্ষের লোকজন আগে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তবে বর পক্ষ কথা অস্বীকার করে তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনে মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে এতে উভয়পক্ষে ২০ জন আহত হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে নিবেন।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ঘটনার বিষয়টি এইমাত্র আপনার কাছ থেকে শোনতে পেলাম। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউই থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। হয়তো উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার সমাধান করে নিবে।


আরো সংবাদ



premium cement