০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`

বগুড়ায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপরে

- ছবি : বাসস

বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, আজ বেলা ১২টায় যমুনার পানি বেড়ে ১৬ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যতই পানি বাড়ছে ততোই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান জানান, এ পর্যন্ত জেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দিতে ৮২১ হেক্টর জমির ভুট্টা, পাট ও শাকসবজি তলিয়ে গেছে।

গত বুধবার যমুনায় ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়লেও বৃহস্পতিবার থেকে ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার বন্যার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। শুধু সারিয়াকন্দি উপজেলার ৭৫টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১১ হাজার ৯৭০ জন মনুষ বান্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন তথ্য দিয়েছে সারিয়াবান্দি উপজেলা কন্ট্রেল রুম। ৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। সারিয়াকন্দি উপজেলার কর্নীবাড়ি. কামালপুর, চন্দনবাইশা, হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। কুতুবপুর, দেবডাঙ্গা রোহদহ এলাকার অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেক ইউনিয়নের মানুষ মনে করছে এই বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাই তারা বসতভিটাতে রয়ে গেছেন। বন্যার পানি বাঁধের নিচে স্পর্শ করেছে। ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ৮টি মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তৌহিদুর রহমান জানান, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনের আশ্রয়ণের জন্য ছয়টি বন্যা আশ্রয়ণকেন্দ্রসহ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজনের সরকারিভাবে ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement