০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`

বগুড়া কারাগার থেকে পালানো ৪ কয়েদি ২ দিনের রিমান্ডে

বগুড়া কারাগার থেকে পালানো ৪ কয়েদি ২ দিনের রিমান্ডে - ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানোর পর গ্রেফতার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদিকে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার (৩ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতের বিচারক মুমিন হাসান এ আদেশ দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুজন মিঞা।

চার কয়েদি হলেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো: জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সুজন মিঞা বলেন, ‘গ্রেফতার চার কয়েদিকে জিজ্ঞাসাবাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দু’দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশের হেফাজতে নেয়া হচ্ছে।’

গত ২৬ জুন ভোর রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। তারা হলেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো: জাকারিয়া এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ।

এদের মধ্যে কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু ও নরসিংদীর আমির ফোর মার্ডার মামলার ফাঁসির আসামি। এছাড়া বগুড়ার কাহালু উপজেলার জাকারিয়া ২০১২ সালে কাহালু উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র নাইমুর ইসলাম নাইমের হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি।

পরে তাদের চেলোপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement