০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫
`

নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত পোরশার কারিগররা

নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত পোরশার কারিগররা - নয়া দিগন্ত

নওগাঁর পোরশার সীমান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিঙ্গি নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত পোরশার কারিগররা। নদীতে নতুন পানি আসায় এলাকার জেলেসহ বাসিন্দারা নতুন নৌকা তৈরী এবং পুরাতন নৌকা মেরামত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, এই নদীকে ঘিরে বসবাসরত জেলেরা এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ কারণে উপজেলা নিতপুরে নৌকা তৈরীর ধুম পড়েছে। আর নদীর আশপাশের এলাকায় কেউকেউ পুরাতন নৌকায় লাগাচ্ছেন আলকাতরা। কেউ আবার ভাঙ্গা পুরাতন নৌকায় দিচ্ছেন জোড়াতালি। কেউবা নতুন নৌকা তৈরী করে নিতে মিস্ত্রিদের দিচ্ছেন তাগাদা। সব মিলিয়ে নৌকা তৈরীর কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

পোরশা উপজেলায় বর্ষাকালে পুনর্ভবা নদী ভরে গেলে জেলেরা এই পানিতে মাছ শিকার করে থাকেন। এ কাজেই নৌকা বেশী ব্যবহার হয়ে থাকে। এ কারণে এ সময় ব্যাপকভাবে নৌকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে কারিগর-মিস্ত্রিরা এ সময় নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, উপজেলার নিতপুর টেলিফোন এক্সেঞ্জের পাশে নতুন নৌকা তৈরী এবং পুরাতন নৌকা মেরামতের কাজ করছেন কারিগররা।

নৌকার কারিগর গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা গ্রামের কালো মিস্ত্রি জানান, তারা নিজ উপজেলা থেকে পোরশা উপজেলায় এসে নৌকা তৈরী করেন। তারা কারখানার পাশেই থাকেন। সাধারণত নৌকা তৈরীতে কড়ই ও মেহগনি কাঠ বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে ডিঙ্গি নৌকা তৈরীতে আবার কেউকেউ কাঁঠাল কাঠও ব্যবহার করে থাকেন। এসব নৌকা তৈরিতে তারকাঁটা, আলকাতরা, টিনের পাত ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। একটি ডিঙ্গি নৌকা তৈরী করতে সাধারণত পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক লাগে। এতে এক দিনে একটি ডিঙি নৌকা তৈরী করে শেষ করা যায় বলে তিনি জানান। মালিক নিজে কারিগর দিয়ে নৌকা তৈরী করে নিলে খরচ বেশি এবং টেকসই হয়। আর কেউ অর্ডার দিয়ে তৈরী করে নৌকা নিলে দাম একটু কম হয় এবং টেকসইও কম হয়।

অপর একজন মিস্ত্রি রবিউল ইসলাম জানান, ৯ থেকে ১৪ হাত পর্যন্ত লম্বা ডিঙ্গি তৈরী করছেন তারা। আর রকমভেদে এসব নৌকার দাম সাড়ে চার হাজার টাকা থেকে ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তিনি জানান, পুনর্ভবা ছোট নদী হওয়ায় শুধু মাছ ধরার জন্য ডিঙি নৌকার অর্ডার বেশি পাওয়া যায়। তবে দু’একটি বড় নৌকার অর্ডারও হয়। তারা তাদের নৌকা তৈরীর কারখানায় নিয়মিতভাবে পাঁচ-ছয়জন কারিগর কাজ করেন বলে জানান। তবে কাজ বেশি হলে কারিগরের সংখ্যাও বাড়াতে হয়। তারা বছরে ৩ মাস নৌকা তৈরী করেন বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement