‘ঘুষ না পেয়ে’ মাদক মামলা দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৭ জুন ২০২৪, ২০:০৮
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মোটরসাইকেল আটক করে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি এবং পরবর্তীতে ঘুষের টাকা না পেয়ে মাদকের (ফেনসিডিল) মামলায় যুবককে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী যুবক বাঘা আমলী আদালতে দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেছেন বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের জোতকাদিপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে রুহেল ইসলাম রয়েল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রয়েল বলেন, ‘গত ১৪ মে সকাল আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার দিকে বাঘা থানার এসআই নুরুল ইসলাম ও শাহনেওয়াজ সজলসহ আরো একজন আমার বাড়ির গেইটের সামনে উপস্থিত হয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত করার ভয় দেখান এবং আমার ব্যবহৃত এ্যাপাচি ৪ ভি লাল রংয়ের মোটরসাইকেলটি জোরপূর্বক বাড়ি থেকে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তারা বলেন, আমাদেরকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে আসবি, অন্যথায় মোটরসাইকেল ফেরত পাবি না। তোদের নামে মামলা দিয়ে জীবন নষ্ট করে দিব।’
তিনি বলেন, ‘আমি পেশায় একজন কৃষক। এই পুলিশ সদস্যরা ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে আমাকে বলেন, যেহেতু তোমার বাড়ি বর্ডারে তুমি আমাদেরকে এই এলাকায় কখন কিভাবে অবৈধ মাদকের চোরাচালান হয় তার তথ্য দেবে এবং গ্রেফতারে সহায়তা করলে তোমাকে পুরস্কৃত করব। আমি তাদের কথায় রাজি না হলে তারা আমাকে হয়রানি করা শুরু করেন। এ ব্যাপারে আমি গত ১৫ মে একটি অভিযোগ বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দিতে গেলে তিনি অভিযোগটি গ্রহণ করেননি। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে মোটরসাইকেলটি ফেরত চাইলে তারা বলেন এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যা।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমি ওই দুই এসআইও বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জের নামে গত ২৯ মে বাঘা থানা আমলী আদালতে মামলা করি। পরে আদালত বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এরপর মামলারবিষয়টি জানার পর অভিযুক্তরা এখন আমাকে বিভিন্নভাবে মামলা মোকদ্দমার ভয় ও মৃত্যু ভয় দেখাচ্ছেন।
এসআই নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে হবে।
তবে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনকারী রুহেল ইসলাম রয়েল একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। ইতোপূর্বেও তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়েছে। এছাড়া অন্য আরো দুটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদক ব্যবসা করে আসছে। এবার মাদক চোরাচালানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ফেলে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণসহ ভিডিও ফুটেজ আছে।
পুলিশের বিরুদ্ধেও রয়েল মামলা করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রফিকুল আলমকে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা