শেরপুরে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া, ভোর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ
- শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ২৭ মে ২০২৪, ১৭:০৭
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সোমবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। যার ফলে গাছপালা ভেঙে ও বিদ্যুতে খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বাসা থেকে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই কিছু কিছু রাস্তায় পানি জমতে শুরু করেছে।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং অসহায় নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে রেইন জ্যাকেট বিতরণ।
সকালে ধুনটমোড় এলাকার আল আমিন অফিস যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছেন। তিনি বলেন, ঝড় হোক আর বৃষ্টি হোক অফিস তো যেতেই হবে। তাই বাধ্য হয়েই এই বৃষ্টির মধ্যেই বের হয়েছি। যাতায়াত করার জন্য যানবাহনও তেমন পাচ্ছি না। রিকশা-সিএনজিতে অনেক ভাড়া চাচ্ছে।
সঞ্জিত বলেন, যেই বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ছাতায় বাধ মানছে না। হাঁটতে গেলেই ভিজে যেতে হচ্ছে। কিন্তু কিছু করার নেই। এই কাক ভেজা হয়েই অফিসে যেতে হবে।
বৃষ্টির মধ্যেই অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া রমজান আলী, আকবর আলী, ফয়সাল হোসেন বলেন, কাজ না করলে খাব কী? বৃষ্টি দেখে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই বৃষ্টির মধ্যেই বের হয়ে পড়েছি। তিনি বলেন, যেই গরম কয়েকদিন পরেছে, তাতে বৃষ্টির দরকারও ছিল।
ভোর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সম্পর্কে জানতে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকো লিমিটেড শেরপুর শাখার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অফিসের নম্বরে যোগাযোগ করলেও সকল মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, মোটামুটি বোরো ফসল ঘরে উঠে যাওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংখা নেই। তাই আম, লিচু ও ভুট্টার সামান্য কিছু ক্ষতি হতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী বলেন, ভোর বেলা বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শণ করেছি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী উপহার ঘরগুলোতে বসবাসরত মানুষগুলো কেমন আছে তাদেরও খোঁজখবর নিয়েছি। এখনো বৃষ্টি ও দমকা হওয়া হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে। এরপর উপকূল থেকে শুরু করে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়।