২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সরকার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম

সরকার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে : মাওলানা রফিকুল ইসলাম - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। মানুষ এখন গণতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।

শুক্রবার (১৭ মে) পাবনা জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলার সকল উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্যদের শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইনের পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি আবু সালেহ মো: আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল গাফফার খান, মাওলানা গোলাম রব্বানী খান জুবায়ের, ডাক্তার আব্দুল বাসেত খান, মাওলানা আব্দুল লতিফ, অধ্যাপক রেজাউল করিম, সোহেল আহমেদ ও অধ্যাপক আব্দুল মোমিন।

প্রধান অতিথি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অবৈধ সরকার গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে পঙ্গু করে ফেলছে। বৈদেশিক ঋণের সুদের ভারে জর্জরিত, সুদ প্রদানের সামর্থ্য হারিয়েছে এজন্য আবার নতুন করে ঋণ গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রশাসনের সকল স্তর সরকারের নগ্ন থাবায় দেশের উন্নয়নে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রশাসনকে দলীয় কর্মীর নেয় কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বিচারিক ব্যবস্থা আজকে সরকারি নির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষেরা স্বাভাবিক ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সমাজে আজকে অন্যায়, অবিচার জুলুম নির্যাতনে ছেয়ে গেছে। সমাজের এই অবস্থা আর বেশি দিন থাকতে দেয়া যায় না। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সমাজ পরিবর্তন করতে হবে। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী একটি ইসলামি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আল্লাহকে ভয় করতে হবে, আল্লাহর উপরই নির্ভর করতে হবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যই সর্বোচ্চ ত্যাগ করে ইসলামি আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সকল সংশয় দূর করে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো প্রকার হতাশা, নিরাশ ও বিপদে দমিয়ে গেলে চলবে না। আন্দোলনের কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। সকল প্রকার কাজে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, কর্মসূচি বাস্তবায়নে অথবা দায়িত্ব প্রদানে যথাপযুক্ত ব্যক্তিকেই দায়িত্ব প্রদান করতে হবে, না হলে কাজ হলেও কাঙ্ক্ষিত মানের কাজ সম্পন্ন হবে না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে কেন্দ্রীয় সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাস্তবায়নে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নাই। এজন্য তিনি কোরআন হাদিসের আলোকে ব্যাপক জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব আরোপ করেন। কোরআন হাদিসের জ্ঞানের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাতৃত্ব ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে, পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে ইসলামি আন্দোলন বেগবান হবে।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের আমল আখলাক, ব্যবসা-বাণিজ্য, চরিত্রসহ সকল বিষয়ে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ।

সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সকল ক্ষেত্রে ত্যাগী মানসিকতার পরিচয় দেয়া দরকার। আর কোরআন হাদিস চর্চার মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞানভাণ্ডার গড়ে তোলা দরকার।

তিনি আরো বলেন, ইসলামি জ্ঞানে পরিপূর্ণ ব্যক্তিরাই ইসলামি আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এবং একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

পাবনা জেলা জামায়াতের এ শিক্ষা শিবিরে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাবনা পৌরসভা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রাকিব উদ্দিন, পাবনা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রব, ঈশ্বরদী উপজেলা আমির ড. নুরুজ্জামান প্রামানিক, আটঘরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা আমিরুল ইসলাম, চাটমোহর উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ, সুজানগর উপজেলা আমির অধ্যাপক হিসাব উদ্দিন, বেড়া উপজেলা আমির মাওলানা আতাউর রহমান, সাথিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, ফরিদপুর উপজেলা আমির মাওলানা আবু তালেব, ভাঙ্গুড়া উপজেলা আমির মহির উদ্দিনসহ পাবনা পৌরসভারসহ নয় উপজেলা কর্ম পরিষদের সদস্যবৃন্দ।


আরো সংবাদ



premium cement