দুবাইয়ের হিমঘরে সাড়ে ৩ মাস ধরে পড়ে আছে প্রবাসীর লাশ
- কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ)
- ১৪ মে ২০২৪, ১৬:৪৯, আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ১৭:১৪
সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে আর ১০ জনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে থাকার আশায় তিন বছর আগে দুবাই পাড়ি জমান এক যুবক। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে হাসপাতালের হিমঘরে লাশ পড়ে রয়েছে। অর্থ সঙ্কটের কারণে তার লাশ দেশে ফেরাতে পারছেন না স্বজনরা। ফলে একদিকে স্বজন হারানোর শোক অন্যদিকে অর্থাভাবে লাশ না আনতে পারার বেদনা পরিবারকে যেন ঘোর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
বলছিলাম, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার এনায়েতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মরহুম জামাল জোয়ারদারের ছেলে মিন্টু হোসেনের কথা।
মিন্টুর মামা আব্দুল মতিন জানান, মিন্টুর স্ত্রী-দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া আর কোনো সম্পদ নেই তার। শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন মিন্টু। এরই মধ্যে স্বপ্ন জাগে সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালো চলার। গত ২০২১ সালে ধার-দেনা করে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে তিনি দুবাই যান। সেখানে যে কোম্পানীর ভিসায় গিয়েছিলেন সেই কোম্পানীতে কাজ না থাকায় মিন্টু অন্যত্র চলে যান। কিন্তু কোম্পানির লোকজন পাসপোর্ট আটকে দেয়ায় তিনি অবৈধ হয়ে পড়েন। তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও পাসপোর্ট-ভিসা হাতে পাননি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও সুষ্ঠু বেতন পায়নি।
তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে দুবাইয়ের আজমানস্থ খলিফা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি (মিন্টু) মারা যান। এরপর পরিবারের লোকজন মৃত্যুর খবর এ পর্যন্ত জানতে না পারলেও শুক্রবার (১০ মে) এক স্বজনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারে পরিবার। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তার লাশ দেশে ফেরাতে নানা চেষ্টা করছেন।
আব্দুল মতিন আরো জানান, কোম্পানির আওতায় থাকলে কোম্পানির খরচে তার লাশ দেশে আসতো। কিন্তু অবৈধ থাকার কারণে নিজ খরচে লাশ দেশে আনতে হচ্ছে। এতে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হবে। যা পরিবারের পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। তাই তার লাশ দেশে ফেরাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন।
নগদ অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১৭৩৫১৯১৭৭৩ (স্ত্রী), বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১৭৮৩৮৪০৭৪৪ (মামা)।