দুর্নীতির অভিযোগে শেরপুর পৌরসভায় আরো ২ জন সাময়িক বরখাস্ত
- শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ১৩ মে ২০২৪, ১৯:৩৬
বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মেয়র জানে আলম খোকার পর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে পৌরসভার প্রশাসনিক ও দাফতরিক কাজের জন্য ১ নম্বর প্যানেল মেয়র নাজমুল আলমকে মেয়রের আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো: আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেরপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শেরপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, সোমবার প্রজ্ঞাপনের কপি ওয়েবসাইটে দেখে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
বরখাস্ত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় ইমরোজ মুজিব বলেন, ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের সাথে তিনি জড়িত নন। তিনি দাবি করেন, তার স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছে অন্য কেউ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জবাব দেবেন তিনি।
অন্যদিকে কাউন্সিলর ফিরোজ উদ্দীন আহমেদের মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরআগে গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো: আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মেয়র মো: জানে আলমের বিরুদ্ধে পৌরসভার দোকান বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাৎ, বিধিবহির্ভূতভাবে বাস টার্মিনালের ইজারা মওকুফ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, জিপগাড়ি মেরামতের নামে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ, ২২৮টি দোকান বরাদ্দ না দেয়া, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পৌরসভার গৃহকর মূল্যায়নে দুর্নীতি, ইমারত ও ভূমির ওপর অতিরিক্ত কর আদায়সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
পৌরসভা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভার সান্যালপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হক গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ২১টি বিষয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগের তদন্তের জন্য রাজশাহী বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে কিছু অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় ২৭ মার্চ মেয়রকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছিল তদন্ত কমিটি।