সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের ধর্ষণে প্রতিবন্ধী কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
- শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা
- ১১ মে ২০২৪, ১৮:১৪
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১৩ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাদশা ইউসুফ আলী (১৫) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। এতে ওই কিশোরী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ইউসুফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম।
বাদশা ইউসুফ আলী চকপোতা বাগড়া হঠাৎ পাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে ও বাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
মামলা সুত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গত ২৯ অক্টোবর ২৩ সালে বাদশা ইউসুফ আলী বরই ও বিভিন্ন খাবার দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চকপোতা বাগড়া হঠাৎ পাড়া তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। গত ৭ মে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবার স্থানীয় শেরপুর ফ্যামিলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়গনোটিকস হাসপাতাল পরীক্ষা করলে গর্ভবতীর ২৪ সপ্তাহ হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। পরে শেরপুর থানায় হাজির হয়ে কিশোরীর বাবা লেবু ১০ মে শুক্রবার রাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় রাতেই বাদশা ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত বাদশা ইউসুফ আলীর মা আনিছা খাতুন বলেন, আমার বিশ্বাস আমার ছেলে ধর্ষণ করেনি। তার দুলাভাই এই কাজ করেছে। তারপরও আমি তাদের বলেছি ডিএনএ টেস্ট (পরীক্ষা) করার পর যদি আমার ছেলে অপরাধী হয়, তাহলে মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে পারিবারিকভাবে মেনে নেব। কিন্তু সেটা না করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিলো। এতে আমার আরোও বেশি বিশ্বাস আমার ছেলে ধর্ষণ করেনি, অন্য কোনো ছেলের দ্বারা ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি রেজাউল করিম বলেন, ইউসুফ আলীকে শনিবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।