১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজশাহীতে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি

রাজশাহীতে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি - ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে টানা তাপপ্রবাহ এবার ১৯ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার বলছে, দিনের এই তাপমাত্রা গত ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বেলা ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ২০০৫ সালের ২ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরও আগে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেই রেকর্ড না ভাঙলেও ১৯ বছরের মধ্যে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হলো।

এবার যে তাপমাত্রা ১৯ বছর আগের ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে দেবে, তা আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত ২৬ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী এখন রাজশাহীতে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। রাজশাহীতে গত ৩০ মার্চ মাত্র এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। ৩১ মার্চ থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেদিন থেকে কোনো বৃষ্টি হয়নি। প্রতিদিন তাপমাত্রা বাড়ছেই। এ অবস্থায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সকাল থেকেই খুব জরুরি কাজ না থাকলে কেউ নগরীর রাস্তায় বের হচ্ছেন না।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২ মে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে টানা তাপদাহ থেকে অতি তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। প্রচণ্ড0 রোদে পুড়ছে পথঘাট। অনেক গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। তীব্র খরার কবলে পড়ে দ্রুতই নেমে যাচ্ছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর। প্রায় অসহনীয় কষ্টে প্রতিটি দিন-রাত পার করছেন এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুররা।

মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও গরমে হাঁসফাঁস করছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। প্রচণ্ড রোদ-গরমে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে লোকজনের চলাচল অনেকটা কমে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement