নাটোরে স্কুলছাত্রকে ডেকে নিয়ে হত্যা, আটক ৪
- নাটোর প্রতিনিধি
- ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫, আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১
নাটোরের নলডাঙ্গার পিপরুলের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রকে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বন্ধুরা। এ ঘটনায় দুই সহপাঠী সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম মাইনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল-হাঁপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র হিমেলকে (১৫) পিপরুল গ্রামের বাড়ি থেকে ডেকে নেয় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা স্থানীয় টিসিবি ডিলার ফারুক সরদার থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতে পিপরুল গ্রামের গৌরাঙ্গের ছেলে পার্থকে আটক করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী হাপানিয়ার রবিউলের ছেলে মেহেদী এবং এলাকার সিনিয়র বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবন থেকে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের লাশ উদ্ধার করা হয় পুলিশ।
ঘটনার কারণ উদঘাটনে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পার্থ নামের এক সহপাঠী তার বন্ধু হিমেলকে মোবাইল ফোনে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার স্বজনরা। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে তারা থানা পুলিশকে জানান। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবন থেকে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে হিমেলে অপর বন্ধু মেহেদী এবং একই এলাকার বাসিন্দা শিমুল ও সুজন নামে আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তে নিহত হিমেলের মাথা, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে মাথায় আঘাত ও চাকু দিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তার মুখের ভেতর পলিথিন কাগজ ঢোকানো ছিল।
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম মাইনুল ইসলাম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা