ঈশ্বরদীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা
- ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা
- ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৩২
ঈশ্বরদীতে ময়না খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার পৌর শহরের মশুরিয়াপাড়া কামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ময়না খাতুন একই এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়নার কাছে একই এলাকার সাথী নামে অপর এক মহিলা কাপড়ের ব্যবসার পাঁচ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। পাওনা টাকা চাওয়ার এক পর্যায়ে বাগ্বিতন্ডায় রূপ নেয়। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে এলাকার কিছু মানুষ মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা করে। তবে কিছু লোক উভয়ের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নিহত ময়নার ছেলে মমিন হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী রনি হোসেনের স্ত্রী শিলা খাতুনের সাথে টাকা লেনদেন নিয়ে আমার বোন নিশির বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনি ও শিলা আমার বোনকে মারধর করেন। আমি আমার ছোট ভাই রিপন হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাদেরও মারধর করেন। পরে আমরা ভয়ে এলাকার বাইরে চলে যাই।
তিনি আরো বলেন, পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রনি ও শিলার পক্ষ নিয়ে একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরের সাথে থাকা ইমরান, আলমগীর, সুজন, আসিফ ও আকাশ লোহার পাইপ এবং কাঠের বাটাম দিয়ে আমার মাকে মারধর করে। খবর পেয়ে মাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে রাত ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বানেশ্বর এলাকায় মা মারা যান।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, মঙ্গলবার সকালে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদীর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। এজাহারের সাপেক্ষে মামলা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা