রাজশাহীতে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় হানিফ বাসের চালক গ্রেফতার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ মার্চ ২০২১, ১৬:১৬
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনায় একমাত্র আসামি কেটিসি হানিফ পরিবহন বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন বেলপুকুর থানার মাহিন্দ্র বাইপাস থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে কাটাখালি থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আব্দুর রহিম জেলার পুঠিয়া উপজেলার বারই পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার চালকের নাম উল্লেখ না করে মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এর আগে কেটিসি হানিফ পরিবহনের বাসচালককে আসামি করে কাটাখালী থানার উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ শুক্রবার দিবাগত রাতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, লাশ নিতে রাতেই রাজশাহীতে পৌঁছেছেন স্বজনরা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে নগরীর কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। নিহত নারী ও শিশুসহ ১১ জনই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর আহত আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছয়জন মারা যান।
দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। এরা সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া পাভেল (১৯) নামে এক মাইক্রোবাস আরোহী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারসহ তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। তারাও রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তাদের অবস্থা ততটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবু আসলামকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। আর সরকারি খরচে লাশগুলো পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা