বন্যায় প্লাবিত পুঠিয়ার ১০ গ্রাম, ভেঙে পড়ছে বাড়ি ঘর
- আরিফ সাদাত, পুঠিয়া (রাজশাহী)
- ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৫:২৬
রাজশাহীর পুঠিয়ার বারনই নদীর পানিতে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম এখন বন্যা কবলিত। এতে ওই এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান, পানের বরজসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষেত ও পুকুর। এলাকার নিম্ন আয়ের সাধারণ পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েক দিন বন্যার কারণে এই এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তার উপর এক শ্রেণির লোকজন বারনই নদীতে জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করছেন। এর ফলে পানি ফুলে গিয়ে গত তিন-চার দিনে এই ইউনিয়ন এলাকার গবিন্দপাড়া, মঙ্গলপাড়া, সাতঘোষপাড়া, বাজে সাতঘোষপাড়া, সাধনপুর, বিদিরপুর, শ্রীরামপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া আরো ১২টি গ্রামের আংশিক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এই এলাকাগুলোতে বেশির ভাগ মাটির তৈরি কাঁচা ঘর ধসে পড়ছে। এতে আমন ধান, বিভিন্ন পুকুরের মাছ ও পানের বরজসহ নান ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে অনুদান না আসায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদের কোনো সহয়তা দেয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, শিলমাড়িয়া এলাকাতে বন্যার করণে কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সার্বিক সহয়তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, বারনই নদীতে জাল ব্যবহারে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে। গত দু’দিনে ওই জালগুলো অপসারণ করা হচ্ছে।
আগামি দু’দিনের মধ্যে প্লাবিত এলাকার পানি কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ্য অসহায়দের কিছু খাদ্য সহয়তা করতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।