আত্রাইয়ে নাগর নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন, পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ
- রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৫
নওগাঁর আত্রাইয়ে নাগর নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৫টি বাড়ি পানির স্রোতে ভেসে গেছে। গত কয়েক দিন অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর সাথে সাথে বিলাঞ্চলের পানিও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উজানের পানি নেমে আসায় আহসানগঞ্জ, সমসপাড়া, কাশিয়াবাড়ি, চকশিমলা, বুড়িগঞ্জ হাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে মানুষের কেনা-বেচাও বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের চকশিমলা, বড়শিমলা, সন্যাসবাড়িসহ ১৪টি গ্রামের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
কালিকাপুর ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের দমদমা, ঘোষপাড়া, আমপুর, দাঁড়িয়াগাথী, সিংসাড়া, থাইপাড়া, পাঁচুপুর ইউনিয়নের বাঁকিওলমা, কাঁন্দওলমা, গোপালবাটি, মধ্যবোয়ালিয়া, জয়নাথপুর, মধুগুড়নই, পাঁচুপুরসহ আট ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাধনগর গ্রামে নাগর নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১৫টি বসতবাড়ি ভেসে গেছে। একই রাতে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে ওই গ্রামের শতশত পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়াও বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২০০ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাশিয়াবাড়ি স্লুইগেটের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় আত্রাই-পতিসর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর সরদার জানান, এবারের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের বন্যায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে আমার ইউনিয়নটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ তৎপরতা সচল রাখতে সকলের প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্যাকবলিত মানুষদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ছানাউল ইসলাম উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বন্যার্ত কোনো মানুষ যেন অনাহারে বা অর্ধাহারে না থাকে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বন্যার্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। প্রয়োজনে আরো সহযোগিতা করা হবে। সেই সাথে স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আত্রাই উপজেলার বানভাসী মানুষের মাঝে যে পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন অসহায় বানভাসী মানুষেরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা