২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

তাড়াশে মাদরাসার জায়গা বেদখলের অভিযোগ

মাদরাসাটির বারান্দায় বসে পড়ছে কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তালম ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামের জন্তিপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসা নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বেদখলের অভিযোগ উঠেছে চার সহোদরের বিরুদ্ধে।

ওই চার সহোদর হলেন, মোজাম হোসেন, তোজাম আলী, চাঁদ আলী ও রেজাউল করিম। তারা ওই গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে।

এদিকে, মাদরাসাটির এমন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রামবাসী ও দখলদারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে শুক্রবার সকালে দেখা যায়, মাদরাসাটির বারান্দায় বসে নূরানী কায়দা, নূরানী আমপারা ও কোরআন শরীফ পড়ছে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী। আর শ্রেণীকক্ষের দখল নিয়ে লাঠি নিয়ে বসে আছেন সেই চার সহোদর ভাই ও তাদের স্বজনরা।

অপরদিকে বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও গ্রামের শতাধিক সাধারণ লোকজন।

ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী মুফতী মাওলানা মোন্নাফ হোসেন, মাওলানা ইসরাফিল হোসেন, মাওলানা রজব আলী, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা মাসুদ রানা, মাওলানা সেলিম রেজা ও হাফেজ মিলন হোসেন জানান, মাদরাসাটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তারা জন্তিপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসাতেই পড়ালেখা করেছেন।

ওই মাদরাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী আব্দুল বারি, আলিফ হোসেন, মিরাজুল ইসলাম, সোহানুর রহমান, তাহামিনা খাতুন, জেমি খাতুন, লাবনী পারভিন ও সুরাইয়া পারভিন জানান, তাদের মাদরাসার জায়গা দখল নিয়ে চেয়ার, টেবিল বাইরে ফেলে দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে তারা বারান্দায় বসে কোরআন পড়ছেন।

এ প্রসঙ্গে জন্তিপুর দারুল উলুম কওমি মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, জন্তিপুর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। গ্রামটিতে প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। এই গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ নেই। সারা বছর কয়েক শত শিক্ষার্থী ওই মাদরাসাতেই পড়ালেখা করেন।

মাদরাসার জায়গা দখল বিষয়ে প্রভাবশালী মোজাম হোসেন, তোজাম আলী, চাঁদ আলী ও রেজাউল করিম জানান, এটা আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি। মাদরাসার জায়গা তাই দখল নেয়ার চেষ্টা করছি।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির জানান, কওমি মাদরাসা সাধারণত নিজ এলাকা বা গ্রামের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।

তাড়াশ থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাউল করিম বলেন, উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। পরে মাদরাসার সম্পত্তির কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, কিছু পাওয়া যায়নি নিখোঁজের তিন দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার সৈয়দপুরে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয়, আটকা শতাধিক যাত্রী তুরস্কের স্কি রিসোর্টে আগুনে মৃত্যু বেড়ে ৭৬ জেনিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৯, আহত ৩৫ পলক-আতিক-সাদেক খান রিমান্ডে বিএনপির সাথে খেলাফত মজলিসের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আ’লীগ একাত্তরে বন্দুকের মুখে মানুষকে রেখে পালিয়েছিল, ২৪ সালে সে কাজই করেছে : মঈন খান বোমা হামলার হুমকি : তল্লাশি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছেন

সকল